জনপ্রতিনিধিদের বিরদ্ধে বিভিন্ন সময় অনিয়ম, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ লেগেই থাকে। খোদ জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার সাথেও জড়িয়ে পড়েছেন। এবার এমনই একটি ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা।
চট্টগ্রাম মহানগরীর স্টেশন রোড এলাকা থেকে ইয়াবাসহ চন্দন ধর (৪৮) নামের এক ইউপি সদস্যকে সহযোগিসহ গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। চন্দন ধর চন্দনাইশ উপজেলার সদ্য বিলুপ্ত দোহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য। তাদের কাছ থেকে ৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে চন্দনাইশ থেকে আরও তিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সোমবার গভীর রাতেই নগরীর স্টেশন রোড এলাকা থেকে ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, স্টেশন রোড এলাকা থেকে ইয়াবাসহ চন্দনাইশ উপজেলার সদ্য বিলুপ্ত দোহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বার চন্দর ধরকে তার এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোট ৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে চন্দনাইশ থেকে আরও এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে চন্দন ধর এখন দোহাজারী পৌরসভার ৬ ওয়ার্ডের সহায়ক সদস্য পদবি ব্যবহার করেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার চন্দন ধর দোহাজারী এলাকার হরিশ চন্দ্র ধরের ছেলে। তিনি সদ্য বিলুপ্ত দোহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। অন্য দুইজন হলো হাশিমপুর দক্ষিণ জোয়ারা এলাকার আনোয়ার হোসেন আনুর ছেলে মো. শাহেদ (৩৩) ও একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. মোর্শেদ (৩১)।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম রেলষ্টেশন কেন্দ্রীক ইয়াবা, মাদকসহ নানাবিধ অপরাধ ক্রমেই বেড়ে গেছে। রেলের স্টাফ চৌকিদার মোরশেদ, লিমন গ্রুপের টেন্ডার নিয়ন্ত্রক রবিউল হোসেনসহ অনেকেই ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা, মাদকসহ অনেক অপকর্মের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে কাজ করছেন। এর আগে মাদক সম্রাট ফারুক নিহত হওয়ার পর থেকেই অনেকই পলাতক রয়েছে। তাদের একটি চিহ্নিত গ্রুপ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব অবৈধ কাজ করার চেষ্টা করছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তবে এসব ব্যবসাী বা মাদকের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে কথা বললেই নানাভাবে হুমকি-দামকি দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার