রাস্তায় প্রকাশ্যে আবারও বর্বরতা! এবার আধিপত্য বিস্তারের জেরে চট্টগ্রামে আরিফ নামে এক যুবলীগ কর্মীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে এবং ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত করেছে আরেক যুবলীগ কর্মী ওয়াহিদ।
ঘটনাটি চারদিন আগের হলেও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচনায় আসে।
নিথর দেহ নিয়ে, অনেকটা জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ৪ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি যুবলীগ কর্মী আরিফের।
চট্টগ্রাম মেডিকেল আর ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আরিফকে ফিরিয়ে আনতে হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলকবহরে বাসায়। উন্নত চিকিৎসা জরুরি হলেও অর্থকষ্টে অসহায় পরিবার এখন দিশেহারা।
গত ১৭ নভেম্বর নগরীর মির্জারপোল এলাকায় বর্বরতার শিকার হন আরিফ। যুবলীগ কর্মী ওয়াহিদুল আলম ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে কোপায় আরিফকে। আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে গেলে উপর্যুপরি আঘাত করে ইট দিয়ে। এতে আরিফের মাথা ও বুকসহ ক্ষত-বিক্ষত হয় শরীরের বিভিন্ন জায়গা। পরিবারের দাবি, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এ হামলা।
ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, হামলার সময় ওয়াহিদ এতটাই বেপরোয়া ছিল তার উন্মত্ততা রুখতে ভয়ে এগিয়ে আসেনি কেউই।
নৃশংস এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটক হয়েছেন মূল অভিযুক্ত ওয়াহিদসহ তিনজন। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, কিশোর গ্যাং এবং এলাকায় চাঁদাবাজি নিয়ে আধিপত্য থেকে এ সংঘাত।
সিএমপি পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবীর জানান, এ ঘটনার প্রধান আসামি ওয়াহিদ এবং তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের দু'জনের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ছিল।
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সিটি প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন জানান, এটা একটা নিন্দনীয় অপরাধ তাই দ্রুত এদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ ঘটনায় ছবিতে ওয়াহিদকে দেখা গেলেও ঘটনাস্থলে ছিল তার আরও কয়েকজন সহযোগী। তাই জড়িত সবাইকে দ্রুত আটকের দাবি আরিফের পরিবারের।
সূত্র: চ্যানেল২৪।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন