চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বিলুপ্তপ্রায় সাম্বার হরিণ পরিবারে নতুন অতিথি এসেছে। গত শনিবার বিকেল ৪টায় সাম্বার শাবকটির জন্ম হয়। এ নিয়ে সাম্বার পরিবারের সদস্য সংখ্যা হলো ছয়। মা হরিণ ও শাবকটি সুস্থ আছে। এর মাধ্যমে সমৃদ্ধ হয়েছে পশুর সংগ্রহ।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, সাম্বার এখন উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় জাতের হরিণ। এটি এখন দেশে প্রায় বিলুপ্ত। এটির গর্ভধারণ কাল ৭ থেকে ৮ মাস। প্রাপ্তবয়স্ক হয় ৩ বছরে। বেঁচে থাকে ২০ থেকে ২৫ বছর। দুধ পান করে ৬ মাস পর্যন্ত। বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় সাম্বার ছাড়াও আরও দুই জাতের হরিণ রয়েছে। এর মধ্যে মায়া হরিণ আছে ৪টি এবং চিত্রা হরিণ আছে ২৭টি।
জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। গত সাত বছরে টিকিট বিক্রির সর্বমোট ৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ১৭১ টাকা দিয়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয় চিড়িয়াখানার। বর্তমানে এখানে ৬৬ প্রজাতির ৬২০টি পশু-পাখি আছে। এর মধ্যে বাঘ, সিংহ, কুমির, জেব্রা, ময়ূর, ভালুক, উটপাখি, ইমু, হরিণ, বানর, গয়াল, অজগর, শিয়াল, সজারু, বিভিন্ন জাতের পাখি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আছে একটি বিরল সাদা বাঘসহ ১৩টি বাঘ ও ৬টি জেব্রা। নির্মাণ করা হয় নান্দনিক সিড়ি, পুরাতন খাঁচাগুলো ফেলে দিয়ে বানানো হয়েছে নতুন খাচা। কুমিরের খাঁচা স¤প্রসারণ করে করা হয় দ্বিগুণ। ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে প্রধান ফটক। বাড়ানো হয়েছে পশু পাখির সংখ্যা। চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে নির্মিত হয়েছে ৩২ হাজার ১৬৪ বর্গফুট আরসিসি ঢালাইয়ের রাস্তা। সমস্ত চিড়িয়াখানা এখন সিসি ক্যামেরার আওতায়। নিচে বাচ্চাদের জন্য রয়েছে বিস্তৃত পরিসরের কিডস জোন। দর্শনার্থীদের জন্য বানানো হয়েছে নান্দনিক রূপের বসার স্থান এবং পরিচ্ছন্ন শৌচাগার। চিড়িয়াখানার তাপমাত্রা সঠিক রাখতে লাগানো হয়েছে হাজারেরও বেশি ফলদ ও ফলজ বৃক্ষ। প্রাণিখাদ্য সংরক্ষণের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আলাদা স্টোর রুম, কোয়ারেন্টাইন রুম এবং অপারেশন থিয়েটারসহ আধুনিক প্রাণি হাসপাতাল।
বিডি প্রতিদিন/এএম