চাকরি জীবনে একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী উপ সহকারি প্রকৌশলী পদে যোগদানের সাত বছর পর সহকারি প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি এবং সহকারি প্রকৌশলী পদে পাঁচ বছর কাজ করার পর নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদোন্নতি বিষয়ে এমন নীতিমালা আছে।
কিন্তু অভিযোগ ওঠেছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) এ নীতিমালা মানা হচ্ছে না। দীর্ঘদিন চাকরি করার পরও পদোন্নতি পাচ্ছেন না। ফলে একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীকে বছরের পর বছর একই পদে কাজ করতে হচ্ছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দানা বাধছে। ইতোমধ্যে ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন’ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। গত বুধবার পাঁচ দফা দাবিতে আয়োজন করেছে প্রতিবাদ সভা। আগামী রবিবার চসিক মেয়র বরাবর দেয়া হবে স্মারকলিপি।
জানা যায়, বর্তমানে চসিকের প্রকৌশল বিভাগের (সিভিল, বিদ্যুৎ ও যান্ত্রিক) বিভিন্ন পদে মোট ৭০ জন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কর্মরত। এসব প্রকৌশলীরা প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণসহ নানা উন্নয়ন কাজে যুক্ত। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ও করা হয়।
চসিক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ বসাক বলেন, ‘আমরা ন্যায্য কিছু দাবি নিয়েই কথা বলছি। চসিকের ১৯৮৮ সালের অর্গানোগ্রাম মতে এস্টিমেটর, ড্রাফটসম্যান, সার্ভেয়ার, বাতি পরিদর্শক, পুল সহকারি ও পুল অফিসার পদে কর্মরতদের পদোন্নতির নিয়ম ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে অনুমোদিত অর্গানোগ্রামে এসব পদে পদোন্নতি বন্ধ করে দেয়া হয়। এটা সম্পূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘন। এ বিধান সংশোধনের দাবি জানিয়েছি। গত বুধবার আমাদের দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সভা করেছি। আগামী রবিবার মেয়র মহোদয়ের কাছে স্মারকলিপি দেব।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী বছরের পর বছর চাকরি করেও পদোন্নতি পান না। অথচ একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার এক বছর চাকরি করার পরই পদোন্নতি পেয়ে যাচ্ছেন। এটি কেমন নীতি? এর মাধ্যমে অনেক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নিজ অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা যায়, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে আসছেন। এর মধ্যে আছে- বৈষম্যমূলক নিয়োগবিধি সংশোধনকল্পে সকল ক্ষেত্রে ডিপ্লোমাদের মতামত গ্রহণ, চাকরিবধিমালা মতে ‘আইইবি সদস্য না হলে সহকারি প্রকৌশলী পদে আবেদন করা যাবেনা’ এমন অন্যায্য বিধান বিধিমালা থেকে বাতিল করা, রাষ্ট্রের অন্যান্য সংস্থার ন্যায় সর্বজনগ্রহণযোগ্য একটি নিরপেক্ষ বিধিমালা প্রণয়ন করা, আইইবি এর মত একটি বেসরকারি সমিতির নিকট চসিককে জিম্মি করে না রাখা এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদোন্নতিতে অযৌক্তিক বিধান সমুহ সংশোধন করা ও বৈষম্যমূলক আচরণ দূরীভূত করা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল