বাংলাদেশকে স্মার্ট সিটি হিসেবে রূপান্তর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। মঙ্গলবার নগরীর আন্দরকিল্লার পুরাতন নগর ভবনে কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ২৩ম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীকে একটি আধুনিক বন্দর নগীর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রায় দুই হাজার পাঁচশত কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এচাড়াও বারইপাড়া খাল খনন, নতুন বাস টার্মিনাল নির্মাণ ও সেবকদের উন্নত বাসস্থানের জন্যও বরাদ্দ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পগুলোর কাজ দৃশমান করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের কার্যক্রমগুলি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। এই কারণে চলমান প্রকল্পগুলো আন্তরিক এবং মনযোগী হয়ে দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, আফরোজা কালাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ।
মেয়র বলেন, কোন রকমের অনুমতি ছাড়া ওয়াসা রাস্তা কর্তন করলে সংশ্লিষ্ট বাসা-বাড়ীর মালিক, দায়িত্বরত ওয়াসার প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। অনুমিতপত্র থাকলেও সড়ক কর্তনের সময় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে অবহিত করতে হবে।
নগরীর জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের যে মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে তা কবে নাগাদ শেষ হবে বলা কঠিন, তবে জলাবদ্ধতা প্রকল্পে খাল ও নালার রিটের্নিং ওয়াল করতে গিয়ে মাটি ভরাট করা হয়েছে রিটের্নিং ওয়ালের কাজ শেষ হোক আর না হোক আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বে খাল ও নালার মাটি উত্তোলন করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় আগামী বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকায় জলজট হলে এর দায় দায়িত্ব প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে নিতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম