চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগে মোট শয্যা আছে ৯৫টি। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই এ বিভাগে রোগী ভর্তি থাকছে ২৩০ থেকে ২৫০ জন। সর্বশেষ আজও ভর্তি ছিল ২৩৬ জন। চট্টগ্রামের শিশু স্বাস্থ্যসেবার বাতিঘর খ্যাত মা ও শিশু হাসপাতালের শিশু বিভাগে শয্যা আছে ২২৫টি। কিন্তু সেখানে প্রতিনিয়ত রোগী ভর্তি থাকছে ২৪০ থেকে ২৬০ জন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশই ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্টজনিত, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার রোগী। ভর্তি করা হচ্ছে শয্যার বাইরে।
জানা যায়, চমেক হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের দুটি ইউনিটে ৯৫ শয্যার বিপরীতে গত কয়েকদিন ধরে দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি থাকছে। প্রতিদিন নতুন করে গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ জন শিশু। ওয়ার্ডের বহিঃর্বিভাগেও প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত। বহিঃর্বিভাগের চিকিৎসকরা তাদের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তির জন্য রেফার করছেন।
চমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা এক বছর বয়সী শিশু কানিজার বাবা বলেন, ঠান্ডাজনিত কারণে কন্যার শ্বাসকষ্ট হয়। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক ভর্তি দিয়ে দিলেন। এখন চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন কয়েকবার করে ওকে নেবুলাইজড করতে হচ্ছে। ওয়ার্ডে এমন অবস্থা আরও অনেক শিশুর।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে শীতের মাত্রা বেড়েছে। তাছাড়া দিনে গরম ও সন্ধ্যার পর ঠান্ডা অনুভব- এমন অবস্থা শিশুদের জন্য সমস্যা তৈরি করে। শিশুরা আক্রান্তও হচ্ছে। আগের তুলনায় এখন কয়েকগুণ বেশি শিশু রোগী নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শ্বাসকষ্টের বাড়তি জটিলতার কারণে আক্রান্তদের একটি অংশকে নিয়মিত নেবুলাইজড করতে হচ্ছে। অনেক শিশুকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
চমেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডা. তানিয়া সুলতানা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে শিশু বিভাগে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক শিশুকে আনা হচ্ছে। শীত মৌসুম হিসাবে সব শিশুকে ঠান্ডা থেকে নিরাপদ রাখতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম