আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। শনিবার বিকেলে বিএনপি’র চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমাবেশে এ ঘোষণা দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এ সরকারের পতন আন্দোলনের অংশ হিসেবে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করছে বিএনপি। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সকল ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। দেখব সরকার কয়টি ইউনিয়নের কর্মসূচিতে বাধা দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি দিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে দুই বার বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। তারা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চায় না বলেই জনগণকে কষ্ট দিচ্ছে। তারা আরেকটা ভোট ডাকাতি করে আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। এ সরকারের পতনের জন্য আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে প্রধান বক্তার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র ভাইচ চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন ফারুক, ভিপি জয়নাল, গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, আবুল খায়ের ভুইয়া, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাহবুবের রহমান শামীম প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সরকার সংবিধান লঙ্খন করে জনগণকে অধিকার বঞ্চিত করছে। জনগণ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। সরকারের পতনের জন্য আন্দোলনকে গতিশীল করতে হবে। সবাইকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সকারের পতনের জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই।
স্লোগান নিয়ে সংঘর্ষ :
স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপি’র নেতা কর্মীরা। এ সময় বিএনপি’র দুই কর্মী মারাত্বক ভাবে আহত হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে তাদের নাম জানা যায়নি। পরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। শনিবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশের বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক বক্তব্য প্রদানকালে এ ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল