দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের আয়োজনে পবিত্র কুরআনে হাফেজদের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩'র চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন শুরু হয়েছে।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টা থেকে নগরের এলজিইডি ভবনের নিচতলায় সকাল থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসে কুরআনে হাফেজরা।
ছয়টি বুথে রেজিস্ট্রেশন করা হয় কুরআনের পাখিদের। নাম, পিতার নাম, মাদ্রাসার নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন হাফেজরা। এরপর ১০টা পাঁচ মিনিটে কামরুল ইসলাম সিদ্দিক মিলনায়তনে শুরু হয় অডিশন পর্ব। একসঙ্গে পাঁচজন প্রতিযোগি এ পর্বে বিচারকদের সুললিত কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করে শোনান।
চট্টগ্রাম অডিশনের চূড়ান্ত পর্বে বিচারক থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিববুল্লাহ বাকী আল নদভী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিউদ্দিন কসেম ও গুলশান মসজিদের খতিব মরতুজা হাসান ফয়েজি। উপস্থাপনা মাওলানা ইলিয়াস হাসান।
চট্টগ্রামের আগে সিলেট, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় অডিশন হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী ও রংপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা ও ফরিদপুর, ২০ ফেব্রুয়ারি বরিশাল, ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা (উত্তর) ও ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা (দক্ষিণ) এর অডিশন হবে। প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার ১০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় পুরস্কার ৭ লাখ, তৃতীয় পুরস্কার ৫ লাখ এবং চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার ২ লাখ টাকা করে।
প্রতিযোগিতার বিচারক বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিউদ্দিন কসেম জানান, চট্টগ্রাম থেকে প্রথমে ৩০ জনকে নির্বাচিত করা হবে। এরপর ১০ জনকে বাছাই করা হবে। ফাইনালি ৩ জন পাবে ঢাকার টিকিট।
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে সিলেট ও কুমিল্লার অডিশনে আমি গেছি। মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এ প্রতিযোগিতা। হাফেজদের জন্য দেশে এত বেশি পুরস্কার আর কখনো ছিল না। প্রথম পুরস্কার বিজয়ীর পরিবার, শিক্ষকসহ চারজন উমরার সুযোগ পাবেন। তাই প্রকৃত পুরস্কার ২০ লাখ টাকার বেশি। সম্প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপ ১০৪ জন হাজিকে হজের সুযোগ করে দিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ