একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, ‘‘একুশের প্রথম কবিতা ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’- এই কবিতাটি চট্টগ্রাম থেকেই কবি মাহবুবুল আলম চৌধুরী লেখেন এবং তা কোহিনূর প্রেস থেকে ছাপিয়ে লালদিঘি ময়দানে পাঠ করা হয়। চট্টগ্রাম দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে এগিয়ে। একুশের চেতনায় সমাজ এবং দেশকে গড়ে তোলা গেলে সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এজন্য পেশাজীবীদের সম্মুখভাগে থাকতে হবে।’
গত শনিবার চট্টগ্রাম অমর একুশে বই মেলায় পেশাজীবীদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেককে মরণোত্তর একুশে অথবা স্বাধীনতা পদক প্রদানের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘একুশের প্রথম কবিতা ছাপানোর জন্য দৈনিক আজাদী পত্রিকার তৎকালীন ম্যানেজার দবির উদ্দিনকে জেলে যেতে হয়। সে সময় আজাদী পত্রিকার প্রকাশক ও কোহিনুর প্রেসের মালিক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক নিজের গাটের টাকা খরচ করে, জীবন ঝুঁকি নিয়ে একুশের সেই অমর কবিতাটি প্রকাশ করেন। অথচ আজও তার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি।’ তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতাদের শুভেচ্ছা জানান।
‘একুশের চেতনায় পেশাজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম। শিল্পী ও সংগঠক শাহাবুদ্দিন মজুমদারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, আইইবির সাধারণ সম্পাদক এস এম শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবেশবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, বইমেলা পরিষদের আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের ট্রেজারার অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী, নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট রেহেনা বেগম রানু, আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সাংবাদিক হাসান আকবর, শিক্ষক ড. শামসুদ্দীন শিশির, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, অধ্যাপক শিবপ্রসাদ, সাবেক ছাত্র নেতা হাবিবুর রহমান তারেক উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে মনোমুগ্ধ দেশাত্মবোধক গান, নৃত্যসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন