চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া এলাকায় বাস ও সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের সাতজন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। তবে ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও এখনো সেই বাস চালককে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে নিহত সাতজনের শেষকৃত্য গ্রামের বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছে।
চট্টগ্রামের নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, ঘটনার পরপরই মামলা করা হয়েছে। এখনো বাসের চালককে শনাক্ত করা যায়নি। আমরা মালিকপক্ষের সাথেও আলোচনা করছি। আমরা উভয়ে মিলে চেষ্টা করছি অভিযুক্তকে শনাক্ত করার জন্য। তবে দ্রুত সময়ে অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পারব।
গত মঙ্গলবার সকালে হাটহাজারীর চারিয়া এলাকায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মা-মেয়ে, ননদসহ একই পরিবারের সাত সদস্য ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সিএনজি চালকসহ নিহতদের আরেক নিকটাত্মীয়। নিহতরা সবাই চট্টগ্রামের চন্দনাইশ জোয়ারার বাসিন্দা। বুধবার দুপুরে তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। চারজনকে স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয়েছে এবং বাকি তিনজন শিশু হওয়ায় নিয়মানুযায়ী তাদের সমাধি করা হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই বাবুল দাশ বলেন, রীতা ও তার মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী শ্রাবন্তী ও ভাতিজা বিপ্লবকে শ্মশানে দাহ করা হয়েছে। বর্ষা এবং যমজ দুই ছেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের মাটিতে সমাহিত করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে মারা যাওয়া চিনুকে চন্দনাইশের সাতবাড়িয়ায় তাদের পারিবারিক শ্মশানে দাহ করা হয়েছে। বাস চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ