চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগের তথ্য চেয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিবের স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য চাওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘স্থানীয় সরকার ও বিভাগের আওতাধীন দপ্তরসমুহে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকদের তথ্যাদি চক মোতাবেক পাঠাতে হবে।’ চাহিত তথ্যের মধ্যে আছে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগের ধরণ ও সংখ্যা, শ্রমিক মজুরি হার, শ্রমিক নিয়োগ অনুমোদন কর্তৃপক্ষ, অর্থ বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিকের সংখ্যা এবং দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োজিত করা সম্পর্কে বিদ্যমান নীতিমালা।
চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, চসিকে কিছু নিয়োগ ও স্থায়ীকরণের বিষয় আছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে আমরা একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখান থেকে চসিকের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের তথ্য চেয়েছে।
জানা যায়, চসিক গত ছয় মাসে অন্তত ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ ভিত্তিতে কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই দুই শতাধিক শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে। তাৎক্ষণিক জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য কাজ নাই মজুরি নাই (নো ওয়ার্ক নো পে) ভিত্তিতে শ্রমিক পদে দৈনিক ৪৫২ টাকা মজুরিতে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়ে অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধে। চসিকে বর্তমানে মোট কর্মরত আছেন ৮ হাজার ৮০৩ জন। এর মধ্যে স্থায়ী ২ হাজার ৭৭০ জন এবং অস্থায়ী ৬ হাজার ৩৩ জন। বর্তমানে অনুমোদিত জনবল ৪ হাজার ২২৬টি। এর বিপরীতে শূন্য পদ আছে ১ হাজার ৪৫৭টি। কিন্তু মামলাসহ নানা জটিলতায় অস্থায়ীদের স্থায়ী করা হচ্ছে না। প্রায় ২৮-৩০ বছর চাকরি করেও অস্থায়ী পদে থেকেই অবসরে যেতে হচ্ছে অনেককে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল