চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। ২৬টি আসনের মধ্যে এ আসনটি অন্যতম। তবে এই আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে নারাজ স্থানীয় আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে নিয়েই স্থানীয় আওয়ামী লীগ দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে নেমেছে ভোট উৎসবে। ফলে ছাড় পেয়েও বিজয়ের দেখা পাবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ।
বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম বলেন, যে দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন তারা আওয়ামী লীগ নেতা। তারা এই এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। যার কারণে দলের নেতাকর্মীরা তাদের সাথে কাজ করছেন। জাতীয় স্বার্থে নৌকা উদ্ধার করা হলেও এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয়ভাবে অন্য দলের কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা আসেনি যুবলীগের কাছে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগও পায়নি। তাই নেতাকর্মী নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থনে গণসংযোগ করছেন। তার সাথে আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য কোনো নেতাকে এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি। বিপরীতে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামকে সভা করে সমর্থন দিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন আওয়ামী লীগের একটি অংশ, যারা মহিউদ্দীন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরী কিষাণ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচত। তার সমর্থনে ইতিমধ্যে বোয়ালখালীতে প্রচারণা চালিয়েছেন আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, আসনটির বর্তমান এমপি নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আলম মাহমদুসহ নাছির অনুসারীরা। এই আসনে আজম নাছির উদ্দিনের শক্ত অবস্থান ও সংখ্যালঘুদের আলাদা ভোট ব্যাংক রয়েছে। আর এ দুইকে এক করে বিজয়ী হতে মরিয়া বিজয় কুমার চৌধুরী। ফলে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিলেও আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের কোন নেতাকর্মীর সমর্থন পাচ্ছে না দলটি।
জানা যায়, চট্টগ্রাম-৮ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ জন প্রার্থী। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ ফরিদ উদ্দীন, ইসলামী ফ্রন্টের আবদুন নবী, বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ, তৃণমূল বিএনপির সন্তোষ শর্মা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহিবুর রহমান বুলবুল, কল্যাণ পার্টির মো. ইলিয়াছ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবদুচ ছালাম ও বিজয় কুমার চৌধুরী কিষাণ। আবদুচ ছালাম নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং বিজয় কুমার চৌধুরী চসিকের সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল