কক্সবাজার-২ (মহেশখালী কুতুবদিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও তার স্ত্রী সাহেদা নাসরীন এবং মহেশখালী পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া ও তার স্ত্রী সর্জিনা আকতারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদিকে, ঘুষ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ রেজাউল হক ও তার স্ত্রী তুহিন আরা বেগম এবং মোল্যা রাশেদ খালেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন একই আদালত। গতকাল ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন (গালিব)-এর আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ সাবেক এমপি আশেকসহ চারজনের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে অস্ত্র সরবরাহ, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে লুটপাট, হোটেল দখল, টেন্ডারবাজি, মদের বার, ইয়াবা ব্যবসাসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান। উল্লিখিত বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও তার পোষ্যগণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত টাকা/অন্য অস্থাবর সম্পদসহ আত্মগোপন করেছেন। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্যাবলি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ গুরুত্বপূর্ণ আলামত এবং অবৈধ টাকাসহ যে কোনো মুহূর্তে দেশ ত্যাগ করতে পারেন। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিদেশ গমন রহিত করা না গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাসহ অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তার বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল হকসহ তিন জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান। অপর দুই ব্যক্তি হলেন, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ রেজাউল হকের স্ত্রী তুহিন আরা বেগম এবং মোল্যা রাশেদ খালেদ।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিভিন্ন দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নিমিত্ত অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধান কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রমের স্বার্থে তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রদান আবশ্যক।