রঙের মানুষেরা কেমন আছে?
ভালোই আছে তারা। পুরনো নাটকের সিক্যুয়ালে নতুন করে আবারও অভিনয় করতে পারাটা আসলে ভাগ্যের ব্যাপার। সেই সময়টাকে মনে করা, সেই মানুষগুলোর সঙ্গে আবারও একসঙ্গে কাজ করা, আড্ডা দেওয়া, এটা আসলে সবার জীবনে হয়ে ওঠে না। পরিচালক লাভলু ভাইয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, তিনি এমন একটি নাটক আবারও নির্মাণ করছেন।
আপনাদের স্কুলটির কি খবর?
'অল সেন্টস' শুধু একটি স্কুল নয়, এটি আমাদের স্বপ্নের একটি প্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার পরিকল্পনা অনেক আগেই নিয়েছিলাম আমি আর টুটুল। এখন তা বাস্তবে রূপ ধারণ করেছে।
স্কুলটির কার্যক্রম নিয়ে কিছু বলুন?
আমরা সংগীতের ক্লাস নিচ্ছি। বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে শিখাচ্ছি পিয়ানো, বাঁশি, ভায়োলেন, গিটার, ড্রামস ইত্যাদি। আমরা প্রতিটি গানের শিল্পীর জন্য একটি করে বাদ্যযন্ত্র শিক্ষাটা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে নাচ শিখাচ্ছে বাংলাদেশের অনেক গুণী নৃত্যশিল্পী। ছোটদের পাশাপাশি বড়দের জন্য একটি ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া কর্মজীবী মা-বাবার সন্তানদের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে থাকছে একটি ডে-কেয়ার সেন্টার। দুই থেকে ১০ বছরের শিশুদের জন্য এই ডে-কেয়ার। ডে-কেয়ারটি দেখাশোনার জন্য এখানে আমরা রেখেছি দেশ-বিদেশের অনেক অভিজ্ঞসম্পন্ন লোক। যাদের কাছ থেকে শিশুরা সব ধরনের ভালো বিষয় সম্বন্ধে জানতে জানতেই বেড়ে উঠবে। একটা শিশুকে আমরা খেলার ছলেই ভালো-মন্দ, জীবন বা জগৎ সম্বন্ধে ধারণা দেব। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেবা দেবেন এসব শিশুকে। সব মিলিয়ে একটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার সব ব্যবস্থা আমরা এখানে করে রেখেছি। আমাদের ঢাকার উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ৭/সি রোডের ৩ নম্বর বাড়িতে গড়ে উঠেছে প্রতিষ্ঠানটি।
উপস্থাপনা কেমন চলছে?
বর্তমানে আমি জিটিভিতে 'আজকের অনন্যা' নামের একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি। প্রচার শুরুর অল্প কিছু দিনের মধ্যে অনুষ্ঠানটি দর্শকপ্রিয়তা পায়। মূলত নারীদের নিয়েই এ অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্ব সাজানো হচ্ছে। প্রত্যেক পর্বেই নারী দর্শক-শ্রোতাদের এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়ে থাকে। এতে সাড়া দিয়ে ক্রীড়াপ্রেমী নারীরা অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করতে আসেন। অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বেই বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা বিষয়ক প্রতিযোগিতা রয়েছে।