'কিচ্ছু বলার নেই আমার...এত ঘনিষ্ঠ... এমন সম্পর্ক... এক বার জানানোর পর্যন্ত প্রয়োজন মনে করল না? এই পুজোতেই তো ওদের বাড়ি গিয়েছিলাম। আদি (আদিত্য চোপড়া) তো সারাক্ষণই আসত। আড্ডা হত...আদি রানির পিছনে লাগত...এত আপন সম্পর্ক...'
রানীর বিয়ে নিয়ে এবাবেই মনের দুঃখ প্রকাশ করলেন রানীর খালা দেবশ্রী।
একটু থেমে ক্ষুব্ধ গলায় বললেন, 'প্রচারে গিয়ে যদি কেউ রানির ব্যাপারে জানতে চায়, কী বলব আমি? আমার দিকটা এক বারও ভাবল না? ওকেও তো মিডিয়া ফেস করতে হয়...ভাবল না, খালাকে কেউ জানতে চাইলে কী উত্তর দেবে? আরে আমাকেও তো এক ডাকে সকলে চেনে রে বাবা...আমিও তো ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পাওয়া অভিনেত্রী।'
বৈশাখের দুপুরে শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘরের মধ্যেও উত্তপ্ত দেবশ্রী। 'যে মেয়েটা প্রত্যেকটা গরমের ছুটি কাটাত দেশপ্রিয় পার্কের বাড়িতে, যে মেয়েটা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলত, মাসি আমি তোর মতো সুন্দর হতে পারব...? সেই মেয়ে বা তার মা, মানে আমার দিদি কৃষ্ণাদি কি ইতালি যাওয়ার আগে এক বারও বলতে পারত না, বিয়ে দিতে যাচ্ছে?'
দুঃখে অভিমানে দেবশ্রী রায় কার্যত বাকরুদ্ধ। 'ভাবতে পারিনি রানির বিয়ের খবরটা খবরের কাগজ পড়ে, টিভি দেখে জানতে হবে...বিয়ের আগের দিন দাদাকে (মৃগেন) কৃষ্ণাদি ফোনে কী বলল? না, কাল রানির বিয়ে...তার পর দিন আবার ফোন করে বলল বিয়ে হয়ে গেল। বাহ! এত দিনের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত এই?'
দেবশ্রীর আঁচ জ্বলতেই থাকে। দেখা যাক, রানি ফিরে এসে সেই আগুন জল করতে পারেন কি না!