চলচ্চিত্রের জন্য নাকি প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
সব পরিচালকেরই স্বপ্ন থাকে একটি ভালো সিনেমা বানানোর। তেমনি আমারও স্বপ্ন আছে। আমি দর্শকদের বলতে চাই, আমি যেটি বানাব সেটি সিনেমাই হবে, টেলিফিল্ম হবে না। আমাদের সিনেমার কাজ এগিয়ে চলছে। এবছরই আমরা শুটিং শুরু করব।
আপনার সিনেমাটি কি ধরনের?
আমার প্রায় সব নাটকেই ফুটে উঠেছে ভালোবাসা ও পারিবারিক সম্পর্ক। আমার সিনেমার গল্পটিও অনেকটা সে রকমেরই। আমি দর্শকদের দেখাতে চাই সুন্দর একটি ভালোবাসার গল্প। আমার সিনেমার নাম, 'ভালোবেসেই মরি'। গল্প লিখছেন জুলফিকার রাসেল। সিনেমা নিয়ে এখন আর কিছুই বলতে চাইছি না। সময় হলে সবাই জানবে।
সামনে নারী দিবস, নারী দিবসে কোনো নতুন নাটক বানাচ্ছেন?
এবারের নারী দিবসে আমার দুটি কাজ প্রচার হবে। এর মধ্যে একটি শামীম আজাদের 'অর্কিট' আর অন্যটি নাজনীন হাসান চুমকীর 'তুমি কেমন আছ'। দুটি নাটকের গল্পই আমার অনেক ভালো লেগেছে।
প্রতি ঈদেই আপনার বেশ কিছু নাটক প্রচার হয়। এবারের ঈদের কাজ শুরু করেছেন?
হ্যাঁ, প্রতি ঈদেই আমি বেশ কিছু কাজ করে থাকি। কিন্তু এবারের ঈদে আমি একটু বেছে কাজ করব। কারণ এখন আমার ধ্যান-জ্ঞান সব এই নতুন সিনেমাকে ঘিরে। সর্বোচ্চ পরিশ্রম করছি সিনেমা নিয়ে।
চলতি মাসেও আপনার বেশকিছু নাটক প্রচার হয়েছে।
এ মাসে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে আমার চারটি নাটক প্রচার হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এনটিভিতে 'স্বপ্নে দেখা মুখ', মাছরাঙা টিভিতে 'নিঃশব্দ', এটিএন বাংলায় 'ভালোবাসা অন্ধ' ও চ্যানেল আইয়ে 'আমার থাকা না থাকা জুড়ে'।
একজন পরিচালক হিসেবে আপনি কি মনে করেন আমাদের নাটকে ভালো গল্পের অভাব?
আমি অনেকটা সময় ধরে নাটক পরিচালনা করে আসছি। প্রথমদিকে আমি সে ধরনের গল্প পেতাম, এখন মনে হয় সেই ধরনের গল্পের সংখ্যা কমে গেছে। এরও একটি কারণ আছে। আগে টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ছিল কম আর এখন টিভি চ্যানেল প্রায় ২৪টি। এত টিভি চ্যানেলের জন্য ভালো গল্প পাওয়া আসলেই কঠিন। তারপরও বলতে চাই, এখন অনেক তরুণ স্ক্রিপ্ট রাইটারের স্ক্রিপ্ট আমার ভালো লাগে।
সংসার পরিচালনা কেমন চলছে?
আমি শুধু নাট্য পরিচালকই নই, ভালো একজন সংসার পরিচালকও। প্রতিদিন সকাল ছয়টায় ঘুম থেকে উঠি। পরিবারের জন্য রান্না করি। তারপর কাজে বের হই। আমার স্বামী অরুণ চৌধুরী একজন গুণী নির্মাতা। আমি তার কাজের ভক্ত। আমি যতটা শিখেছি, তার কাছ থেকেই, তার কাজ দেখে। আমি যখন বাইরে কাজে থাকি, তখন তিনি আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেন। এই মানুষটার জন্য আজ আমি এই জায়গাটায় দাঁড়াতে পেরেছি। আমি সুখী পরিবার নিয়ে।
* আলী আফতাব