সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে জায়েদ খান ও পরীমণি অভিনীত 'ভালোবাসা সীমাহীন' ছবিটি। এ ছবি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন -মাহবুবুল আলম।
কেমন আছেন?
সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত 'ভালোবাসা সীমাহীন' সিনেমাটি দর্শক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় বলতে গেলে খুবই ভালো আছি।
সিনেমাটি দর্শকদের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পেরেছে বলে আপনি মনে করেন?
সিনেমাটি নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী ছিলাম। এক্ষেত্রে আমি সফল হয়েছি বলতে পারি। কারণ প্রায় প্রতিটি সিনেমা হলে আমি ও পরীমণি গিয়েছিলাম, সেখানে আমি দেখেছি খুব মনোযোগ সহকারে দর্শকদের সিনেমাটি উপভোগ করতে। ছবির শেষদিকে আমার মৃত্যুর সময় দর্শকদের চোখে আমি পানি দেখেছি। এমনকি জোনাকি সিনেমা হলে এক দর্শক ছবিটি দেখে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে। সবমিলিয়ে দর্শকরা ছবিটা খুব ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে এবং সিনেমায় আমার এবং পরীমণির রসায়ন দর্শকদের মনের পর্দায় স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।
ছবিটিতে নতুন নায়িকা হিসেবে পরীমণির বিপরীতে কাজ করতে আপনার কোনো অসুবিধা হয়েছে কি?
নায়িকা হিসেবে পরীমণি নতুন হলেও তার সাথে অভিনয় করার সময় কখনো তাকে নতুন মনে হয়নি। রুপালী পর্দায় নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার যা যা দরকার তার সব কিছুই আমি পরীমণির মধ্যে খুঁজে পেয়েছি। তাছাড়া নগর মাস্তান, মিশন সিক্স ও নিষ্পাপ হৃদয় নামে আরও তিনটি ছবিতে আমি পরীমণির সঙ্গে অভিনয় করেছি। সবমিলিয়ে সে একজন ভালো অভিনেত্রী।
বর্তমানে অাপনি কোন কোন ছবির কাজে ব্যস্ত আছেন?
বর্তমানে আমার ৫টি ছবির শুটিং চলছে। এর মধ্যে মনতাজুর রহমান পরিচালিত 'লাভ ইন মালয়েশিয়া', 'আগুনের চোখে প্রেম'। লেলিন হায়দার পরিচালিত 'মিশন সিআইডি'। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু পরিচালিত 'তোমার প্রেমে পড়েছি' এবং নায়ক মাসুম পারভেজ রুবেল পরিচালিত 'মিশন সিক্স'। ছবিগুলো নিয়েও আমি খুবই আশাবাদী।
চলচ্চিত্র নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
আমি মৃত্যুর আগেরদিন পর্যন্ত চলচ্চিত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে চাই। তবে আপাতত চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেব আমি নিজেকে আরও বড় জায়গায় নিয়ে চাই। পরবর্তীতে প্রযোজনায় নাম লিখিয়ে স্বপ্নের ছবি নির্মাণ করতে চাই।
দর্শকদের জন্য আপনি কি বলতে চান?
দর্শকদের বলব, বাংলা চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে এসেছে। আপনারা হলে আসুন, সিনেমা উপভোগ করুন এবং আমাদেরকে উৎসাহিত করুন। যাতে করে আমরা আপনাদের আরও ভালো ছবি উপহার দিতে পারি।