'এতোদিন শুনে এসেছি তারা নাকি ভারতের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক। তাদের কাছে প্রত্যাশাটাও অনেক বেশি পাঠকের। কিন্তু আমার সংবাদটি যেভাবে পরিবেশন করেছে তা মোটেও উচিত হয়নি। আনন্দবাজারের কাছে এটা আশা করিনি।' বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজারের প্রতি নিজের ক্ষোভ এমনভাবেই প্রকাশ করলেন হালের ঢালিউড অভিনেত্রী পরীমণি।
শুক্রবার আনন্দবাজার তাদের অনলাইন সংস্করণে পরীমণির সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। শিরোনাম ছিল, "অনস্ক্রিন আমি চুমুও খাবো, বিকিনিও পরবো"। এছাড়া সাক্ষাৎকারের ভেতরে বেশ কয়েকটি অংশে বাংলাদেশের দর্শক ও ভক্তদের কিছুটা খোঁচা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পরীমণি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে পরীমণি বলেন, " ইন্টারভিউ শেষে এটাও বলেছিলাম যে, দয়া করে যেমনটা উত্তরগুলো দিয়েছি তেমনটাই ছাপাবেন। কোথাও দ্বিধা থাকলে আপনি আবার প্রশ্ন করতে পারেন। প্রিয় পোশাকের কথা জানতে চাইলে বলেছিলাম, আমি বাঙালি মেয়ে। ছোটবেলা থেকে শাড়িই ভালো লাগে। তবে শ্যুটিংয়ে নানা ধরনের পোশাক পরতে হয়। আর তখনই "যদি" প্রশ্নটা করা হয়। কিন্তু ছাপানোর সময় অনেক প্রয়োজনীয় কথা বাদ দিয়ে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ভক্তদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে।"
এর আগেও জয়া আহসান, নুসরাত ফারিয়ার মতো অনেকের সংবাদ পরিবেশন নিয়ে বিভ্রান্তি হয়েছে বলে শোনা যায়। আপনার ...(প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই থামিয়ে দিয়ে প্রত্যুত্তরে বলা শুরু করলেন) ... "দেখুন, তারা তো এর প্রতিবাদ করেছে বলে জানা নেই। কিন্তু আমি একটু পাগলাটে ধরনের। সত্যকে চাপা দিতে পারবে না। তাই প্রতিবাদ করেছি। এমনকি বেশ কয়েকবার ফোনেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। না পেয়ে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছি, জানিয়েছি আমার অবস্থান এদেশের সাংবাদিকদের। তারাও বিষয়টি অনুধাবন করেছেন।
ভক্তদের জন্য কিছু বলার আছে কিনা জানতে চাইলে পরীমণি বলেন, "আমি পরী। বাংলাছবির নায়িকা। আর এ খ্যাতিটা আমাকে দিয়েছে আমার দেশের চলচ্চিত্র, আমার দেশের মানুষ, আমার দেশ। সেই দেশের সাদা মনের মানুষদের নিয়ে কটূক্তি করার মতো আমি নই। আর যেটা শিরোনাম করা হয়েছে সেটা ছিল 'যদি'র উপর ভিত্তি করে। বলেছিলাম আমি অভিনয় শিল্পী। চরিত্রের প্রয়োজনে আমাকে খুনি, পুলিশ, ডাক্তার, গোয়েন্দা এবং যদি বিকিনি পরার প্রয়োজন হয় আমি করতে পারবো। তার মানে এই দাঁড়ায় না যে ওই বিকিনিই পরবো। এমন "যদি" প্রশ্নের উত্তর শিরোনাম হওয়া আসলেই দুঃখজনক। "
বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা