বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ঢাকায়ও বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট পালন করেছেন তরুণ জলবায়ু কর্মীরা। সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) বাস্তবায়ন হলে ব্যয়বহুল ও দূষিত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আরও বাড়বে মন্তব্য করে এটি দ্রুত সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে ধর্মঘটে।
বৈশ্বিক পর্যায়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত সংগঠন ফ্রাইডেস ফর ফিউচার ও তরুণদের সংগঠন ইয়ুথনেট গ্লোবাল গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ধর্মঘটের আয়োজন করে।
বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের অংশ হিসেবে আয়োজিত এ সমাবেশে ২০০ জনেরও বেশি তরুণ জলবায়ু কর্মী রঙিন ব্যানার, পোস্টার ও স্লোগানের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরেন। ‘ভুয়া সমাধান নয়, নবায়নযোগ্য শক্তি চাই’- শীর্ষক স্লোগানে মুখরিত ছিল সমাবেশস্থল। জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট তুলে ধরে তারা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে হলে জ্বালানি নীতিতে নবায়নযোগ্য উৎসগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুতে বিশ্বের উন্নত দেশ এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের অংশ হিসেবে একই দিনে দেশের ৫০টি জেলায় একযোগে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সমাবেশে ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, জলবায়ু সংকটকে বিবেচনায় রেখে আমাদের শক্তি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সুবিধা নিশ্চিত করার বদলে দরকার একটি ন্যায্য, স্বচ্ছ ও স্থানীয় বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটানো পরিকল্পনা। এখন সময় জনগণকে ক্ষমতায়িত করা, নবায়নযোগ্য শক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং ভ্রান্ত সমাধানের যুগের অবসান ঘটানোর। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় ২০১৮ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট পালন করে আসছেন বিশ্বের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা।