পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) সন্দেহে এবার আটক করা হল ভারতীয সেনাবাহনীর এক জওয়ানকে। রবিবার পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলা থেকে জম্মু-কাশ্মীর লাইট ইনফ্রান্টির জওয়ান ফরিদ খানকে আটক করে দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দারা। ফরিদ ভারতীয় সেনাবাহিনীর গতিবিধির বিভিন্ন খবর পাক গোয়েন্দা সংস্থাকে পাচার করতো বলে অভিযোগ।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে কর্মরত আছেন তিনি। দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) রবীন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, 'রবিবার শিলিগুড়ি থেকে দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চের ৮ জন গোয়েন্দা তাঁকে আটক করেছে।'
সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র এই খবর জানিয়ে বলেছেন, 'ফরিদের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর কিছু গোপন নথি উদ্ধারের পরই কয়েকদিন আগে তাঁকে আটক করে সেনাবাহিনীরই গোয়েন্দারা। এরপর দিল্লি পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।'
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, পাক চর সন্দেহে কয়েকদিন আগে গ্রেফতার হওয়া জম্মুর বাসিন্দা কাফাইতুল্লা খানের সঙ্গে ২০১৪ সালে এই ফরিদের পরিচয় করিয়ে দেয় মহম্মদ সবর নামে এক শিক্ষক।
আইএসআই সন্দেহে ইতোমধ্যে বিএসএফ-এর হেড কনস্টেবল আবদুল রশিদকেও আটক করা হয়েছে। রশিদকেও রুপির লোভ দেখিয়ে এই চক্রে সামিল করে কাফাইতুল্লা। রশিদের মাধ্যমেই রাজৌরিতে ভারতীয় বাহিনীর গোপন তথ্য সংগ্রহ করতেন কাফাইতুল্লা। এরপর ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ ও ভাইবারের মাধ্যমে তা পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিতেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ