টানা ছয় মাস ধরে চলা বিক্ষোভের ছবিটা পাল্টালো না নতুন বছরের প্রথম দিনেও। প্রতিবাদের মাধ্যমেই নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীরা। সেই অনুযায়ী নানা প্রদেশে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল গণতন্ত্রকামী সংগঠনগুলো। আর সেখানেই কাঁদানো গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। পুলিশের পাল্টা অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা তাদের লক্ষ্য করে অজস্র বোতল বোমা ছুড়ে মারে।
সকাল থেকেই ভিক্টোরিয়া পার্কে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। কালো পোশাক। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মুখোশ ছিল অনেকেরই মুখে। উদ্দেশ্য ছিল, মিছিল করে হংকংয়ের মূল দ্বীপে যাওয়া। অনেকেই সেখানে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে শামিল হন। অনেকের হাতেই ছিল পোস্টার-ব্যানার। কোথাও লেখা, ‘হংকংকে স্বাধীন করো’ কোথাও ‘স্বাধীনতা বিনামূল্যে আসে না’।
প্রথমে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও কিন্তু পরে গোলমাল শুরু হয় ওয়ানচাই বার প্রদেশে। একটি বহুজাতিক ব্যাঙ্কের চত্বরে কিছু বিক্ষোভকারী জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ করে হংকং পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানেই প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে তারা।
বিক্ষোভকারীদের পাল্টা অভিযোগ, আন্দোলনের জন্য চাঁদা তুলতে ওই নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কেরই একটি অ্যাকাউন্ট এত দিন ব্যবহার করা হচ্ছিল। কাউকে কিছু না-জানিয়ে আচমকাই সেই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয়া হয়। তারই প্রতিবাদ জানানো হচ্ছিল আজ। ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তারা। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও অ্যাকাউন্ট বন্ধের অভিযোগ মানতে চাননি। পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে রবার ছোড়ে পুলিশ। তবে আজকের ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
তবে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তায় হংকংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আরও একবার মুখ খুলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন, হংকংয়ের মানুষের সমৃদ্ধি আর এলাকার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বেইজিং বদ্ধপরিকর। এ নিয়ে তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপ যে চীন বরদাস্ত করবে না, তা-ও ফের স্পষ্ট করেছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত