গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে আগ্রাসন চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এরই মধ্যে দীর্ঘ ১০ মাস পেরিয়ে গেছে এই যুদ্ধের। যুদ্ধ বন্ধে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি রাশিয়া-ইউক্রেন।
এদিকে, বর্তমানে তীব্র শীতের মৌসুম ইউক্রেন চলছে ইউক্রেনে। এই সময় সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এতে ইউক্রেনের প্রায় পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে দেশটির অধিকাংশ অঞ্চল। ফলে প্রচণ্ড শীতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ইউক্রেনীয়রা।
এমতাবস্থায় রাশিয়াকে এই যুদ্ধের জন্য ভয়ঙ্কর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সোমবার রাতে এক ভিডিওবার্তায় তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।
জেলেনস্কি বলেন, দখলকারীরা যে পরিকল্পনাই করুক না কেন, আমরা নিজেদের সম্পর্কে একটা জিনিস জানি— আমরা সহ্য করব। নিশ্চিত আমরা তাদের আমাদের ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করবই। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, ইউক্রেনে বড় ধরনের ড্রোন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয়দের মনোবল ভেঙে দিতে এ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে মস্কো।
তিনি জানান, গোয়েন্দাসূত্রে জানতে পেরেছেন— ইরানের শহিদ ড্রোন দিয়ে এসব হামলা চালাবেন রুশ সেনারা।
এ ব্যাপারে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনকে ‘নিঃশেষ’ করে দিতে ড্রোন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে এবং আমরা এ জন্য সব করব। জঙ্গিদের অন্যান্য হামলার মতো এ হামলাও ব্যর্থ হবে। আকাশ প্রতিরক্ষার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের এখন বিশেষ নজর রাখতে হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনে ড্রোন হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। পশ্চিমাদের দাবি ইরান রাশিয়াকে এসব ড্রোন দিয়েছে। কয়েক দফা ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বেশিরভাগ জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে করে বিদ্যুৎবিহীন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন কাটাতে হচ্ছে লাখ লাখ মানুষকে।
জেলেনস্কির দাবি, নতুন বছর শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার পাঠানো ৮০টি ড্রোন ভূপাতিত করেছেন ইউক্রেনীয় সেনারা। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম