ওবামা দম্পতির সংসার ভাঙতে চলেছে- কয়েক সপ্তাহ ধরে চাউর হওয়া এমন গুজব নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্যসহ গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি হাইপ্রোফাইল অনুষ্ঠানে স্বামী বারাক ওবামার সঙ্গে দেখা যায়নি তাকে। এরপরই তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয় বলে জানায় বিবিসি।
অভিনেত্রী সোফিয়া বুশের সঞ্চালনায় পডকাস্ট ‘ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেসে’ মিশেল বলেন, ‘প্রাপ্তবয়স্ক নারী’ হিসেবে নিজের ক্যালেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করার মতো অবস্থায় এখন তিনি পৌঁছেছেন। সাবেক এ মার্কিন ফার্স্ট লেডি বলেন, তিনি যে নিজের জন্য ‘কোনো সিদ্ধান্ত’ নিতে পারেন তা মানুষ বিশ্বাসই করতে পারে না, কিন্তু এখন ‘উল্টো তারা ধরে নিচ্ছে যে স্বামীর সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হতে চলেছে। সুনির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব পালন করায় নিজে এখন খানিকটা অপরাধবোধে ভুগছেন বলেও জানান তিনি। ‘আমার জন্য সেরা হবে এমনটাই বেছে নিয়েছিলাম আমি, আমার করতেই হতো বা অন্যরা চাইছে বলে মনে হচ্ছে এমন কিছু বেছে নিইনি’, বলেন ওবামাপত্নী। জানুয়ারিতে ট্রাম্পের অভিষেকে তাকে দেখা না গেলেও গত গ্রীষ্মেই ডেমোক্র্যাট পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশনে (ডিএনসি) ভাষণ দিয়ে দলটির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন তিনি। -বিবিসি
পডকাস্টে সাবেক এ ফার্স্ট লেডি জানান, নিজের জন্য বেশি সময় চাইলেও এখনো তিনি বক্তৃতা দিতে, বিভিন্ন জায়গায় যেতে এবং নানান প্রকল্পে কাজ করার মতো সময় বের করে নিতে পারছেন। ‘আমি এখনো মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে ভাবি’, বলেছেন তিনি। ওবামা দম্পতি গত বছরের অক্টোবরে তাদের গাঁটছড়া বাঁধার ৩২ বছর উদ্যাপন করেছে। মিশেল এর আগে তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘বিকামিং’য়ে বারাক ওবামার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ও হোয়াইট হাউসে কাটানো সময়ে দাম্পত্যে নানান জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছিলেন। স্বামীর উচ্চাকাক্সক্ষা তার একাকিত্ব ও ক্লান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল, বইতে এমনটাই লিখেছিলেন তিনি।