নীরবতা ভাঙলেন সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর্তৃক সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা দপ্তরের ৭ সহস্রাধিক কর্মচারী বরখাস্তের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রবীণ আমেরিকানদের মাসিক ভাতা পেতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হবে- আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন জো বাইডেন।
এই ভাতার ওপরই প্রবীণদের দিনাতিপাত নির্ভর করে। সময়মতো সে অর্থ যদি অ্যাকাউন্টে জমা না হয় তাহলে যে ধরনের অমানবিক দুঃসহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সেদিকে ইঙ্গিত করতেই বাইডেন তার নীরবতা ভেঙেছেন।
গত ২০ জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউস ত্যাগের পর জো বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই নানা অভিযোগ উঠিয়ে কঠোর সমালোচনা করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার উপদেষ্টা ধনকুবের ইলেন মাস্ক। এতদিন পর ১৫ এপ্রিল শিকাগোতে এক সমাবেশে বাইডেন তার নীরবতা ভেঙে বলেছেন, ট্রাম্পের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা এবং নানা পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানটিকেই শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হয়নি, প্রশাসনিক কাঠামোকেও নড়বড়ে করা হচ্ছে। শত দিনেরও কম সময়ে এই প্রশাসন ভয়ংকর ক্ষতির সম্মুখীন করেছে রাস্ট্রীয় কাঠামোকে। এমন অবস্থায় নিয়ে গেছেন যে কোনো সময় সবকিছু ভেঙে পড়তে পারে। অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ট্রাম্পের নামোল্লেখ না করে বাইডেন আরও বলেছেন, আমেরিকানরা সোশ্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট সময়মতো পাওয়া নিয়ে সত্যিকার অর্থেই বিচলিতবোধ করছেন, আশঙ্কায় নিপতিত হয়েছেন। এমন আশঙ্কা তৈরি হয়ে থাকে যুদ্ধকালে। এখন কি আমরা যুদ্ধে লিপ্ত? এখন কি আমরা মহামন্দায় পতিত? আমরা কি আরেকটি মহামারিতে আক্রান্ত? যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন পরিস্থিতির অবতারণা আর কখনোই হয়নি। কোটি মানুষ আজ সংকটে নিপতিত।