মৃত্যু হলো মুমিনের উপহার। হে মুমিনগণ আপনারা বেশি বেশি করে মউতের কথা স্মরণ করুন। এমন কিছু বিষয় আছে, যা আপনারা অপছন্দ করেন। কিন্তু মূলত তা আমাদের জন্য কল্যাণকর। আশা করি, আমরা মউতকে অধিক স্মরণ করে তাকওয়া লাভে সফল হব। আল্লাহপাক বলেছেন, হে রাসূল! আপনি বলে দিন যেই মউত থেকে পলায়ন করছ তা তোমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেই। অতঃপর তোমাদের অদৃশ্য জগতের মহাজ্ঞানী আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে প্রত্যাবর্তন করা হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে তোমাদের কৃত আমল সম্পর্কে অবহিত করবেন। হজরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হজরত রাসূল (সা.) আমার কাঁধ ধরে বলেন, দুনিয়াতে বসবাস করবে যেন তুমি মুসাফির বা অতিক্রমকারী। এ কথার আলোকে ইবনে ওমর বলতেন, যখন তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হবে আশা রাখবে সকালের এবং যখন তুমি সকালে আশা রাখবে সন্ধ্যায়। আর তোমার সুস্থতার সুযোগ গ্রহণ কর তোমার মরণের আগে। (বুখারি শরিফ) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে পাক (সা.) বলেন, তোমরা দুনিয়ার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বাদ-গন্ধ ধ্বংসকারী তথা মৃত্যুকে বেশি বেশি করে স্মরণ কর। এ আমল তোমাদের গুনাহ থেকে বাঁচাবে। (তিরমিজি শরিফ) রাসূল (সা.) আরও বলেন, তোমাদের কেউ যেন মৃত্যুর কামনা না করে। কারণ, সে নেককার হলে হয়তো নেকি ও কল্যাণের কাজ বৃদ্ধি করবে। আর যদি বদকার হয় তাহলে সম্ভবত সে তওবা করে আল্লাহর সন্তোষ লাভে সমর্থ হবে। হজরত উবাদা বিন সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসূলে পাক (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি মৃত্যুর মাধ্যমে আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভকে ভালোবাসে আল্লাহও তার সাক্ষাৎ লাভকে ভালোবাসেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভকে ভালোবাসেন না আল্লাহপাক তার সাক্ষাৎ লাভ ভালোবাসেন না। হজরত আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) বলেন, মৃত্যু হলো মুমিনের তোহ্পা বা উপহার। তিনি আরও বলেন, আমি তোমাদের কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা জিয়ারত করতে পার। কবর জিয়ারত আমাদের পরকালকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে তার দীনের পথে চলার তৌফিক দিন। আমরা বেশি বেশি মউতের কথা স্মরণ করব। ইনশাআল্লাহ।