ইসলাম শান্তির ধর্ম, সব ধরনের অশান্তি, বিশৃঙ্খলা, মারামারি, হানাহানি, জুলুম নির্যাতন বন্ধের জন্য এবং নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষের জীবনের নিরাপত্তার জন্য ইসলামের আগমন ঘটেছে। জাহেলি যুগে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুনাখুনি, হানাহানি এবং রক্তের বদলে রক্ত নিতে গিয়ে অসংখ্য নিরপরাধ মানুষের জীবনহানি ঘটত এবং বছরের পর বছর যুদ্ধবিগ্রহ চলত। ইসলামের মহান প্রবর্তক বিশ্বশান্তির মূর্ত প্রতীক হজরত মুহাম্মদ (সা.) এসে এ সব কিছু সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন। বিদায় হজের ভাষণে তিনি অত্যন্ত কঠোরভাবে ঘোষণা করলেন : 'হে মানবমণ্ডলী তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ এই দিন ও এই মাসের মতো তোমাদের ওপর নিষিদ্ধ ও পবিত্র তোমাদের প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত।' মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনুল কারিমে অন্যায়ভাবে হত্যা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধ সম্পর্কে ইরশাদ করেন- 'যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করল সে যেন দুনিয়ার সব মানুষকেই হত্যা করল, আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করল (৫:৩২)' অন্যায়ভাবে হত্যার শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন- কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন, তাকে লা'নত করবেন এবং তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখবেন (৪:৯৩)
ইসলাম কোনোভাবেই অন্যের জানমালের ক্ষতিসাধন সমর্থন করে না। যারা মানুষের জানমালের ক্ষতি করে ইসলাম তাদের প্রকৃত মুমিন বলে স্বীকৃতি দেয় না। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন- 'প্রকৃত মুমিন সে ব্যক্তি যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।' সুতরাং একজন সত্যিকারের মুসলমান কখনো অন্য মুসলমানের জানমালের ক্ষতি করতে পারে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে নিরপরাধ মানুষকে বোমার আগুনে পুড়ে মরতে হচ্ছে এটা ইসলাম তো সমর্থন করেই না। কোনো বিবেকবান মানুষও এ হত্যা ও ধ্বংসাত্দক সমর্থন করতে পারে না। তাই আমরা এ সব কিছুর অবসান চাচ্ছি এবং এসব বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সাধারণ ও নিরীহ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য দাবি জানাচ্ছি। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।