'ঈদ' অর্থ খুশি, আনন্দ, উৎসব। এ ঈদ শব্দটি বড়ই মধুর, আনন্দদায়ক। ঈদের আগমনে স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে শৈশবকালের কথা। এখনো ছোটদের মধ্যে ঈদ আসার আগে থেকেই চলতে থাকে বহু প্রস্তুতি। আর মনে মনে তারা ভাবতে থাকে ঈদের দিন কোন পোশাক পরিধান করবে। পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে থাকতে হবে সবকিছু। বর্তমানে এমন আনন্দ, উৎসব চলতে থাকে আমার ঘরে বাচ্চাগুলোর মধ্যে। বিশেষ করে আমার একমাত্র ছোট্ট মেয়েটির আনন্দ দেখে আমি নিজেও হারিয়ে যাই চলি্লশ বছর আগে নিজের জীবনের শৈশবকালের দিকে। আমার মেয়ের ঈদ শুরু হয়ে যায় এক থেকে দেড়মাস আগ থেকে। সে বলবে আব্বু কবে ঈদ আসবে? সেদিনটি কখন আসবে? বিরক্ত হয়ে বলবে ঈদ আসে না কেন? ইত্যাদি আবেগের কথা। এমনকি ওর পক্ষ থেকে এমন এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় যার উত্তর আমার নিজেরও জানা থাকে না। ঈদের দুই তিন দিন আগ থেকেই রাতে ওর চোখে ঘুম থাকবে না। ওর মা'র বকাঝকা খেয়ে শেষ রাতে একটু ঘুমাবে। কিছুক্ষণ পরেই ঘুম থেকে উঠে বলবে আম্মু ঈদ এসেছে? এই যে শিশুদের এমন আনন্দ খুশি মনের আবেগ সত্যিই বড় মজাদার, বড় মধুর। কিন্তু বালেগ হওয়ার পর থেকে অর্থাৎ ব্যক্তি যৌবনকালে পদার্পণ করার সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর ইসলামী বিধিবিধান আরোপিত হয়ে যায়, অঘোষিতভাবে ইসলাম তাকে বলতে থাকে এখন থেকে লাগামহীন জীবনের লাগাম টেনে ধর। ইসলামী নীতিমালার ভিত্তিতে মনের আবেগ, আনন্দ, উল্লাস প্রকাশ কর।
ইসলাম মানবজাতির জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দিয়েছে সুন্দর জীবনব্যবস্থা, দীন পালনের সহজতর নিয়ম-পদ্ধতি, যা মানব জাতি সহজে গ্রহণ করতে পারে। এ পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার মাঝে কোনোরূপ সংযোজন-বিয়োজনের অধিকার আল্লাহপাক মানব জাতিকে দেননি। দীন ও ইসলামের বিধানাবলি নাজিলের শেষ পেরেক আল্লাহতায়ালা সূরা মায়েদা নাজিলের মাধ্যমে এঁটে দিয়েছেন। তাফসিরে ইবনে কাসীর গ্রন্থে এ ধরনের একটি বর্ণনা বর্ণিত আছে যে, হজরত জোবায়ের ইবনে নুফায়ের (রা.) একবার হজের পর হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.)-এর কাছে উপস্থিত হলে তিনি বলেন, যোবায়ের! তুমি কি সূরা মায়েদা তেলাওয়াত কর? তিনি বললেন, জি হ্যাঁ তেলাওয়াত করি। হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) বললেন, এটি কোরআনপাকের বিধি-বিধান, হালাল-হারাম সম্পর্কিত সর্বশেষ সূরা। তার প্রতিটি বিধানই অটল। রহিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কাজেই এগুলোর ওপর আমলের ব্যাপারে সর্বদা যত্নবান থাক। এ সূরা মায়েদার ৩নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে কাফেররা তোমাদের দীনের (পরাস্ত হওয়ার) ব্যাপারে হতাশ হয়ে গেছে। সুতরাং তাদের ভয় কর না। অন্তরে আমারই (আল্লাহর) ভয় স্থান দিও। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের ওপর আমার নেয়ামত পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দীন হিসেবে ইসলামকে (চিরদিনের জন্য) পছন্দ করে দিলাম। বিভিন্ন সহিহ হাদিসে আছে, এ আয়াত দশম হিজরির বিদায় হজের সময় আরাফার দিন নাজিল হয়েছিল। দিনটি ছিল শুক্রবার, সময় ছিল আসরের পর, স্থানটি ছিল জাবালে রহমতের কাছে আরাফার ঐতিহাসিক ময়দান। অনেক সহিহ বর্ণনা মতে ওই দিনের এ সময়ই খোলা আকাশের নিচে দোয়া কবুল হয়। আরাফার ময়দানে প্রায় দেড় লাখ সাহাবায়ে কেরাম উপস্থিত। রাহমাতুলি্লল আলামিন সাহাবায়ে কেরামদের সঙ্গে জাবালে রহমতের নিচে স্বীয় উষ্ট্র আজবার ওপর সাওয়ার। সবাই হজের প্রধান রোকন অর্থাৎ আরাফার ময়দানে প্রিয় রসুলের সামনে অবস্থানরত, অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ কিছুক্ষণ পরেই শুনব রসুল (সা.)-এর পবিত্র জবান থেকে মুক্তাসদৃশ হৃদয় নিংড়ানো ঐতিহাসিক ভাষণ। এমন বরকত ও রহমতের উল্লেখিত আয়াত নাজিল হয়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, এ আয়াত নাজিল হওয়ার পর রসুল (সা.) মাত্র একাশি দিন পৃথিবীতে বেঁচেছিলেন। কেননা দশম হিজরির ৯ জিলহজ এ আয়াত নাজিল হয় এবং একাদশ হিজরির ১২ রবিউল আউয়াল রসুল (সা.) পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে আল্লাহর সানি্নধ্য গ্রহণ করেন। এ আয়াতটি বিশেষভাবে তাৎপর্য ও গুরুত্ব সহকারে অবতীর্ণ হয়েছে এবং বিষয়বস্তুও ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য বিরাট সুসংবাদ। যথা (১) দীনের পূর্ণতা (২) নিয়ামতের পূর্ণতা (৩) ইসলাম ধর্ম নির্বাচন এবং অনন্য পুরস্কার ও স্বাতন্ত্র্যের স্বাক্ষর বহন করে। এক কথায় আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীতে মানব জাতিকে সত্য দীন ও আল্লাহর নিয়ামত চূড়ান্তভাবে প্রদানের যে ওয়াদা ছিল, আজ তা ষোলকলায় পূর্ণ করে দেওয়া হলো। এ আয়াতের মাঝে যেমনিভাবে রসুল (সা.)-এর সৌভাগ্য ও শ্রেষ্ঠত্বকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তেমনিভাবে সব নবীর উম্মতের ওপর উম্মতে মুহাম্মদির শ্রেষ্ঠত্বও সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। শ্রেষ্ঠ নবীর শ্রেষ্ঠ উম্মত হবে এটাই তো স্বাভাবিক। এ কারণেই একবার কতিপয় ইহুদি আলেম হজরত উমর ফারুক (রা.)-এর কাছে এসে বলল, আপনাদের কোরআনে এমন একটি আয়াত আছে যা ইহুদিদের প্রতি অবতীর্ণ হলে তারা অবতরণের দিনটিকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করত। হজরত উমর ফারুক (রা.) তাদের প্রশ্ন করলেন আপনাদের উদ্দেশ্য কোন আয়াতের দিকে? তখন তারা আলোচ্য আয়াতটি পাঠ করে শোনাল, হজরত উমর ফারুক (রা.) বললেন, হ্যাঁ আমরা জানি এ আয়াতটি কোন সময়, কোন স্থানে, কোন দিনে এবং কেন অবতীর্ণ হয়েছে? তবে শুনুন! এ দিনটি ছিল আমাদের জন্য দুটি ঈদের দিন। একটি আরাফার দিন, অপরটি জুমার দিন।
হজরত উমর ফারুক (রা.) এর উক্ত সংক্ষিপ্ত উত্তরটি এমন একটি ইসলামী মূল নীতির প্রতি ইঙ্গিত বহন করে, যে মূলনীতিটি বিশ্বের সব জাতি, ধর্ম এবং বর্ণের মাঝে একমাত্র ইসলামেরই স্বাতন্ত্র্যবৈশিষ্ট্য। পৃথিবীর প্রত্যেক জাতি, নিজ নিজ অবস্থা ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিশেষ বিশেষ ঐতিহাসিক ঘটনাবলির স্মৃতিবার্ষিকী পালন করে। এসব দিন তাদের কাছে বিশেষ আনন্দ উৎসবপর্বের মর্যাদা রাখে। কিন্তু ইসলাম জাহেলি যুগের সব কুপ্রথাকে রহিত করে ব্যক্তি পূজার সিস্টেমকে স্থায়ীভাবে হারাম করে দিয়েছে। কিন্তু উম্মতে মুহাম্মদির পালনের জন্য তার রেখে যাওয়া কর্মগুলো যা দীনে মুহাম্মদির সঙ্গে সংহতিপূর্ণ। যেমন কোরবানি, সুন্নতে খাতনা, সাফা ও মারওয়ার মাঝে দৌড়াদৌড়ি, মিনার তিন জায়গায় কঙ্কর নিক্ষেপসহ ইত্যাদি কর্মগুলো বিধান করে দিয়েছে। আর চালু করে দিয়েছে এমন একটি মূলনীতি যা উম্মতের জন্য অবশ্যই পালনীয় ও করণীয়। যেমন হজরত ইব্রাহিম (আ.) এবং তাঁর পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-এর জন্ম ও মৃত্যু তারিখ সংরক্ষণ করা হয়নি। অনুমান করে জন্ম-মৃত্যু তারিখ বের করে তা পালন করা মূর্খতা আর অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। ঠিক তেমনিভাবে ইসলামের যত বড় ব্যক্তিই হোক না কেন তাকে উদ্দেশ্য করে কোনো দিবস পালনের বিধান শরিয়তের বা ইবাদতের অংশ করা হয়নি। বরং ওই ব্যক্তির জন্য দোয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তা-ও সেটা কোনো দিন-তারিখ বা সময়ের সঙ্গে নির্দিষ্ট নয়। যে কোনো দিন, যে কোনো সময় হতে পারে। কারণ আপনজনের দোয়া আপনজনের জন্য আল্লাহতায়ালা দ্রুত কবুল করেন, যেহেতু তাদের দোয়া আসে হৃদয় থেকে ইখলাসের সঙ্গে।
একজন মানুষ নিজেকে সারা জীবন একেবারে নিরানন্দ করে রাখতে পারে না, বরং তার সুস্থ, সুন্দর জীবন গঠনের জন্য প্রয়োজন কিছুটা ক্রীড়া-কৌতুক। যেমন আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মাঝে মাঝে বাস্তবভিত্তিক হাসি-কৌতুক করতেন। তার কৌতুক বাস্তববহির্ভূত ছিল না। একবার তিনি কৌতুক করে এক বৃদ্ধা মহিলাকে দেখে বলছেন, বৃদ্ধা মহিলারা জান্নাতে যাবে না। মহিলা কান্না শুরু করে দিয়েছে, তাহলে আমরা কি জান্নাতে যাব না? রসুল (সা.) কিছুটা মুচকি হেসে বললেন, বৃদ্ধা হয়ে জান্নাতে যাবে না। তারা সুন্দরী রমণীর রূপ ধারণ করে জান্নাতে যাবে। মহান রাব্বুল আলামিন মানুষকে আনন্দ উৎসব পালন করার জন্য দিয়েছেন বছরে দুটি ঈদ। একটি হলো দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা পালন করার পর ঈদুল ফিতর। অপরটি হলো ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এই দুই দিনে মানুষ আনন্দ প্রকাশ করবে। হাসিমুখে একে অপরের খোঁজখবর নেবে। আত্দীয়স্বজনের খোঁজখবর নেবে ইত্যাদি। তবে শরিয়তের সীমানার ভেতর থেকে তা প্রকাশ করতে হবে। শরিয়তের বাইরে যাওয়া যাবে না। মোটকথা হজরত উমর ফারুক (রা.)-এর উত্তর থেকে বোঝা যায়, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের মতো আমাদের ঈদ ঐতিহাসিক ঘটনাবলির অনুগামী নয় যে, যেদিন কোনো বিশেষ ঘটনা সংঘটিত হবে, সেদিনকেই আমরা ঈদ হিসেবে উদযাপন করব। প্রাচীন জাহেলিয়াতের যুগে এ প্রথাই প্রচলিত ছিল। আজকালকার আধুনিক জাহেলিয়াতের যুগেও এ প্রথাটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে, এমনকি অন্যান্য জাতির অনুসরণে মুসলমানরাও এসব কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। খ্রিস্টানরা হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্ম দিবসে ঈদে মিলাদ পালন করে। তাদের দেখাদেখি কিছু সংখ্যক মুসলমান না জেনে, না বুঝে রসুল (সা.)-এর জন্ম দিবস পালন করার জন্য ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করে। এ দিবসে বাজারে মিছিল বের করে, তারা তাতে বাজে ও অশালীন কর্মকাণ্ড করে এবং রাতে আলোকসজ্জা করাকে ইবাদত মনে করে। তারা বলে অন্তরে নবীর প্রেম থাকলেই চলবে, নামাজ, রোজা হজ এবং জাকাতের কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের এমন কর্মের সাপোর্ট সাহাবি, তাবেয়ি ও পূর্ববর্তী কোনো মহামনীষীদের থেকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
ইসলামে এরূপ দিবস পালনের প্রথা চালু হলে হজরত আদম (আ.) থেকে রসুল (সা.) পর্যন্ত প্রায় এক লাখ চবি্বশ হাজারেরও বেশি পয়গম্বর রয়েছেন। তাদের সবারই শুধু জন্ম-মৃত্যু নয়, বিস্ময়কর কর্ম মুহূর্তের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায়, তাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত এত নিখুঁত এবং বাস্তবভিত্তিক ছিল যা উম্মতের জন্য অবশ্যই পালনীয় হওয়া দরকার। রসুল (সা.)-এর শৈশবকাল থেকে নব্যুয়ত প্রাপ্তির প্রাক্কালে ফেরেশতা কর্তৃক বক্ষবিদারণের দিনটি কি পালনীয় নয়? এবং তার বিশ্বস্ততা, আমানতদারিতার কারণে যে দিন তাকে কুরাইশ জাতি 'আল-আমিন' উপাধি দিয়েছিল সে দিনটি কি পালনের যোগ্য নয়? এ ছাড়া নবুয়ত প্রাপ্তির পর ইসলামের ঐতিহাসিক ঘটনাবলি যেমন হিজরত, বদর, উহুদ, খন্দক ইত্যাদি যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয় লাভ করেছে সে দিবস কি পালনের যোগ্য নয়? রসুল (সা.)-এর প্রায় দেড় লাখ সাহাবায়ে কেরাম যারা প্রত্যেকেই ছিলেন তার অনুপম চরিত্রমাধুরীর বাস্তব প্রতিচ্ছবি। যার সামান্য আঙ্গুলের ইশারায় তারা নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করতেও কুণ্ঠাবোধ করত না। যাদের সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন আল্লাহ তাদের ওপর সন্তুষ্ট, তারা আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট, তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ আল্লাহর দলই সফলকাম হবে। (সূরা হাশর আয়াত-২২)। রসুল (সা.) বলেন, আমার সাহাবিরা তারকারাজির মতো, যারাই তাদের অনুসরণ করবে তারাই হেদায়েতপ্রাপ্ত হবে। তারা তো কোনো দিবস পালন করেননি। যদি দিবসগুলো পালনীয় হতো তাহলে আমাদের থেকে তারা-ই তো পালনের বেশি অধিকার রাখে। আর যদি ইসলামে এমন দিবস পালনের নিয়ম চালু হতো, তখন দেখা যেত বছরে ৩৬৫ দিনের প্রতিটি মুহূর্তেই কোনো না কোনো স্মৃতিচারণ করার প্রয়োজন হতো। তখন মানুষের জন্য নিজেদের দৈনন্দিন কর্ম রেখে এমন কাজেই লিপ্ত থাকতে হতো। বিষয়টি উম্মতের ওপর বড় কঠিন বোঝা হয়ে যেত। শরিয়ত উম্মতের ওপর এমন বোঝা না চাপিয়ে কত বড় উপকার করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা সাহাবায়ে কেরামদের পায়ের ধুলার সমতুল্যও নই। আমরা কেন এমন দিবস পালন করব, যা ইসলাম ও শরিয়ত-বহির্ভূত? এ বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নয়। আমার এ লেখাটি কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি বিশেষকে উদ্দেশ্য করে নয়, বরং আমার উদ্দেশ্য হলো আমরা সবাই মুসলিম জাতি, একে অপরের হিতাকাঙ্ক্ষী। আমাদের সামনে ইসলামের সঠিক দিক-নির্দেশনা চলে আসুক, আমরা সবাই যেন সঠিক পন্থায় আল্লাহ ও তাঁর রসুলের বিধান মেনে জান্নাতে যেতে পারি। আল্লাহ আমাদের সবার মঙ্গল করুন। আমিন।
লেখক : মুহাদ্দিস, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা, ঢাকা।