ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচনসামগ্রী কেনাকাটার কাজে নামছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তার আগে হরেক রকমের ফরম, প্যাকেট, ম্যানুয়াল মুদ্রণ এবং মজুত যাচাইয়ে সভা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। আগামী মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সঙ্গে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সচিবের সভাপতিত্বে মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ইসির অতিরিক্ত সচিবসহ বাজেট ও অর্থ, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, নির্বাচন পরিচালনা, ক্রয় ও মুদ্রণ শাখার কর্মকর্তারা থাকবেন সভায়। সব মিলে চাহিদা নিরুপণ ও মজুত যাচাইয়ের পাশাপাশি কেনাকাটার কাজে নামবে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
এ ছাড়া আগামী ১৫ এপ্রিলের সভার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে- নির্বাচনি বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্রের ক্রয়, সংগ্রহ ও সংরক্ষণ; নির্বাচনসামগ্রীর মুদ্রণ কার্যক্রম শুরুর সম্ভাব্য সময়; আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার মুদ্রণ; স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত) নির্বাচনের ব্যালট পেপার মুদ্রণ পরিকল্পনা; সরবরাহ না হওয়া সামগ্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও বিবিধ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, বিজি প্রেসের সঙ্গে আমাদের একটা সভা হবে। নির্বাচনি সামগ্রীর কী কাগজ মজুত রয়েছে, সেগুলো কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে এবং সামনের জন্য কী চাহিদা থাকতে পারে সে বিষয়গুলো আলোচনা হবে। ডিসেম্বরে ভোট পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। যথাসময়ে কাজ সম্পন্ন করতে খসড়া কর্মপরিকল্পনাও করেছে ইসি সচিবালয়। কমিশনের অনুমোদন পেলেই কাজের বাস্তবায়নসূচি প্রকাশ করা হবে। এবারের নির্বাচনে সাড়ে ১২ কোটিরও বেশি ভোটার; যেখানে ৪৪ হাজারের মতো ভোট কেন্দ্রে আড়াই লক্ষাধিক ভোটকক্ষ হতে পারে।
চলমান সংস্কারের মধ্যে আইনবিধি-নীতিমালা অনুসরণে প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ ফরম, প্যাকেট, পরিচয়পত্র, নির্দেশিকা, প্রচারপত্র, প্রতীকের পোস্টার, আচরণবিধি, পরিচালনা ম্যানুয়াল, ফল বিবরণীসহ হরেক রকমের মুদ্রণ কাজ রয়েছে; যা তফসিলের অন্তত ৪-৫ মাস আগে শেষ করতে হয়। তফসিল ঘোষণার পর ভোট কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ থেকে প্রতীক বরাদ্দের পর আসনভিত্তিক ব্যালট পেপার মুদ্রণের মতো বড় পরিসরের কাজও রয়েছে। ইসি খসড়া কর্মপরিকল্পনায় রয়েছে- জুন-জুলাইয়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা, পোস্টার, পরিচয়পত্র ইত্যাদি মুদ্রণ করতে হবে। নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকার ম্যানুয়াল ও নির্দেশিকা মুদ্রণের জন্য প্রস্তুতকরণ। নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট হতে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা মুদ্রণের জন্য প্রস্তুতকরণ। বিভিন্ন প্রকার পরিচয়পত্র, পোস্টার ইত্যাদি প্রণয়ন। বিভিন্ন প্রকার ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা, পোস্টার, পরিচয়পত্র মুদ্রণের মুদ্রণাদেশ প্রদান। প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা চূড়ান্ত করে মুদ্রণাদেশ প্রদান। তফসিল ঘোষণার কমপক্ষে ৩-৩.৫ মাস পূর্বে মুদ্রণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে।