তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীসহ দেশের ১৭ অঞ্চলে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। তবে টানা কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে গরমের তীব্রতার পর মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকাসহ দেশব্যাপী জনজীবনে নেমে আসে স্বস্তি। আবার দুপুরের পর থেকে টানা বৃষ্টির কারণে অফিসফেরত যাত্রীরা পড়েন ভোগান্তিতে। রাজধানীজুড়ে দেখা দেয় প্রচণ্ড যানজট। এ সময় অনেককেই ভিজে ঘরে ফিরতে দেখা গেছে। তার পরও তারা বলছিলেন, টানা গরমের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি নিয়ে এসেছে এই বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সেখানে প্রায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায়। ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৩১ মিলিমিটার; নরসিংদীতে ৩২ মিলিমিটার ও ফরিদপুরে ২৩ মিলিমিটার। গতকাল দুপুর থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। দুপুর ২টার দিকে আকাশ মেঘলা হতে শুরু করে। এরপর ধুলোঝড়ের পর নেমে আসে বৃষ্টি। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হতেই থাকে। রাতেও অনেক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৭ অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্র বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কালবৈশাখির মৌসুমে হঠাৎ বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এ ছাড়া আজ থেকে পাঁচ দিন সব বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।