কাজ না করে আট প্রকল্পের মোট ১ হাজার ৭৯ কোটি ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক এমপি মহিউদ্দীন মহারাজ এবং পিরোজপুর এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলীসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৮টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মঙ্গলবার পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো হয়। মামলার পরই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরে সরকারের ১৭টি প্রকল্প নেওয়া হয়। দুদক মহাপরিচালক আরও বলেন, বিভিন্ন উপজেলায় ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে মোট ১ হাজার ৭৯ কোটি ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। মামলায় মেসার্স হরিনপালা ট্রেডার্সের মালিক সাবেক এমপি মহিউদ্দীন মহারাজ, পিরোজপুর এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আলি আখতার হোসেন, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশীদ খান, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সাত্তার হাওলাদারসহ মোট ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পিরোজপুর জেলা হিসাব সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মোহাসীন, এসএএস সুপার মাসুম হাওলাদার, নজরুল ইসলাম, সাবেক জেলা হিসাব সংরক্ষণ কর্মকর্তা আলমগীর হাসান এবং পিরোজপুর এলজিইডি কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক এ কে এম মোজাম্মেল হক খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুদক সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তিনটি তদন্ত প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা ও সাবেক মন্ত্রীর এই দুর্নীতিতে জড়িত থাকার তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মে জড়িত ১১ জন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।