চট্টগ্রাম মহানগরের মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে ছাত্রদলের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও এনসিপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে উভয় পক্ষের পাঁচ-সাত জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আকবরশাহ থানার সামনে দুই পক্ষ অবস্থান নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতির একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। উভয় পক্ষ সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আকবরশাহ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজে দুই শিক্ষকের বিরোধ কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দুটি পক্ষ নেয়। এ ঘটনা কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়নি। জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) চট্টগ্রাম জেলা সংগঠক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আজকে (গতকাল) কয়েক দফায় ছাত্রদলের কর্মীরা মোস্তফা হাকিম কলেজে শিক্ষার্থী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপি প্রতিনিধিদের ওপর হামলা করেছেন। এর প্রতিবাদে বিকাল ৫টার দিকে আমরা মিছিল নিয়ে আকবরশাহ থানায় গিয়েছি। থানায় আমাদের প্রতিনিধিদল ওসির সঙ্গে কথা বলছিল। ওই সময় ছাত্রদল মিছিল নিয়ে আবার আমাদের দিকে তেড়ে আসে। পুলিশের বাধার কারণে ভিতরে আসতে পারেনি। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ছাত্রদলের মিছিলে যারা এসেছিল তাদের ৬০ শতাংশই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা আছে।’
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাস্টার আরিফ হোসেন বলেন, ‘কলেজে ছাত্রলীগের এক সন্ত্রাসী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম দিয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করেছে। এখানে আমাদের কমিটি বিগত সরকারের সময়েও ছিল। গুপ্ত সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এনসিপি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের ভুল বুঝিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছে। এখন ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘সেনাবাহিনী, পুলিশ, ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধি মিলে থানায় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ১৯ এপ্রিল উভয় পক্ষের আহতদের উপস্থিতিতে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত। শুক্রবার (আজ) বেলা আড়াইটায় আমাদের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে হামলার প্রতিবাদে।’