শরীর ও ত্বকের নানা সমস্যা নিয়ে চিন্তিত প্রায় সকলেই। কেউ হয়তো অনেক মোটা হয়ে যাচ্ছেন, ব্যায়াম করার সময় নেই। কেউ আবার ত্বকে কালো দাগ, ব্রণ বা শুষ্কতা দূর করার উপায় খুঁজছেন। আর চুলের সমস্যাতো কম-বেশি প্রত্যেকেরই রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে নানা প্রসাধনী ও ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে থাকেন অনেক। অনেকরে আবার রাতের ঘুমও হারাম হয়ে যায়। অথচ আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে এমন অনেক প্রাকৃতিক জিনিস যা ব্যবহার করে আমরা সহজেই সমস্যার সমাধান পেতে পারি। এমনি একটি প্রাকৃতিক উপাদান হচ্ছে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী। এটি একটি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ। সৌন্দর্য প্রিয়সীদের জন্য রইলো অ্যালোভেরার কিছু উপকারিতা:
- ওজন কমানোর বিষয়টি নিয়মিত জিম করার ওপর নির্ভর করে মাত্র ১০ শতাংশ। আর বাকি ৯০ শতাংশ নির্ভর করে আমরা যে খাবারগুলো খাচ্ছি তার আত্মিকরণের ওপর। প্রতিদিন সকালে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস পানি দিয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে হজম শক্তি বাড়বে, পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকবে এবং সেই সঙ্গে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য। আর ওজনতো নিয়ন্ত্রণে থাকবেই।
- অ্যালোভেরা পাতার রস নিয়মিত ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং রোদে পোড়াভাব দূর হয়। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারী। কারণ এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অতি সংবেদনশীল ত্বক কিংবা ব্রণ ওঠার প্রবণতা যাদের বেশি, তারা অ্যালোভেরা থেকে অনেক বেশি উপকার পাবেন। বিশেষ করে ত্বক কোমল ও মসৃণ করতে এবং ত্বকে ব্রণের দাগ দূর করতেও অ্যালোভেরার রস দারুণ কাজে দেয়। তুলো দিয়ে অ্যালোভেরার রস ত্বকে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। কয়েকদিনের মধ্যেই তফাৎ আপনার চোখে পড়বে।
- মাথার খুশকি দূর করতে মেহেদীপাতার সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন চুলে। মাথা যদি সব সময় গরম থাকে তাহলে অ্যালোভেরা পাতার শাঁস প্রতিদিন একবার তালুতে নিয়ম করে লাগালে মাথা ঠাণ্ডা হয়। অ্যালোভেরার রস মাথার তালুতে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে। শ্যাম্পু করার আগে আধা ঘণ্টা অ্যালোভেরার রস পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। শ্যাম্পু করার পর চুল থেকে হাত সরাতেই মন চাইবে না।