দিনে দিনে আমাদের দেশে হিন্দি সিরিয়ালের প্রতি আসক্তি বেড়েই যাচ্ছে। এই আসক্তির পরিণাম সবসময় ভালো ফলাফল আনে না বরং অনেক ক্ষেত্রেই তা নেতিবাচক প্রভাবের কারণ হয়। আসুন জেনে নেয়া যাক নিজের কিংবা পরিবারের সদস্যদের হিন্দি সিরিয়ালের প্রতি আসক্তি কমানোর কিছু উপায়।
সন্তানের আসক্তি কমাতে
সন্তান যদি হিন্দি সিরিয়ালে আসক্ত হয় তাহলে তা আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি স্বরূপ। আপনার সন্তানের পড়াশোনা, সৃজনশীলতা সব কিছুই ধ্বংস করে দেয় হিন্দি সিরিয়াল। সন্তান যদি হিন্দি সিরিয়ালে আসক্ত হয় তাহলে আপনার এই আসক্তি দূর করতে উদ্যোগ নেয়া উচিত এখনই। সন্তান যে সময়টাতে সিরিয়াল দেখে সেই সময়ে তার জন্য প্রাইভেট টিউটর ঠিক করুন। তাহলে সে বাধ্য হবে সিরিয়াল দেখার সময়ে পড়াশোনা করতে। এছাড়াও যদি সুযোগ থাকে তাহলে তাকে বাইরে খেলাধুলা করার অভ্যাস করে দিন। সিরিয়ালের সময়টাতে পরিবারের সবাই মিলে রাতের খাবার খেতে বসতে পারেন। তাহলে সন্তান সিরিয়াল দেখার সুযোগ পাবে না।
স্ত্রীর আসক্তি কমাতে
স্ত্রী যদি সিরিয়াল আসক্ত হন তাহলে আপনাকে বুদ্ধি খাটিয়ে চলতে হবে। স্ত্রীর সিরিয়াল আসক্তি কমাতে তাকে প্রথমে বুঝিয়ে বলুন যে তার এই স্বভাবটা আপনাদের সংসারের ক্ষতির কারণ হতে পারে। স্ত্রীকে নিয়ে সিরিয়ালের সময়টাতে ইংলিশ, ফটোগ্রাফি, ডান্স অথবা অন্য সৃজনশীল কোনো কোর্সে ভর্তি হয়ে যান। আপনি তার সঙ্গে থাকুন। সিরিয়ালের সময়টাতে স্ত্রীকে অন্য কাজে ব্যস্ত রেখেও দেখতে পারেন।
মায়ের আসক্তি কমাতে
মায়ের সিরিয়াল আসক্তি কাটাতে তাকে বুঝিয়ে বলুন সিরিয়ালের ক্ষতিকর দিকগুলো। তাতে যদি কাজ না হয় তাহলে তাকে বাইরে হাঁটতে নিয়ে যান। এতে তার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং সেই সঙ্গে আপনারও হাঁটা হবে। এছাড়াও সিরিয়ালের সময়টাতে তাকে ভালো কোনো সিনেমা ছেড়ে দিতে পারেন, কাছে বসে গল্প করতে পারেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। বয়স্ক মানুষদের বিভিন্ন ক্লাব আছে আজকাল, তাকে সেগুলোর মেম্বার করে দিতে পারেন।
নিজের আসক্তি কমাতে
নিজের সিরিয়াল আসক্তি নিজে কমানোটা বেশ কঠিন। নিজের সিরিয়াল আসক্তি কমাতে পরিবারের কারো সাহায্য নিতে পারেন। বিশেষ করে স্বামী/স্ত্রীকে বলুন সিরিয়ালের সময়টাতে আপনাকে সময় দিতে। এছাড়াও প্রিয় সিরিয়ালের সময় রান্না কিংবা ঘর গোছানোর কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন। আপনার যদি অন্য কোনো সৃজনশীল গুণ থাকে তাহলে সিরিয়ালের সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন সেই কাজে। সন্তানের পড়ালেখা দেখাশোনার কাজ করেও সময়টাকে কাটিয়ে দিতে পারেন।