গরমের রাত যেন নেমে আসে অভিশাপ নিয়ে। বিছানায় গা লাগাতেই যেন ছ্যাঁকা খাওয়ার জোগাড়। এই সময়েই পাখার হাওয়াও স্বস্তি দিতে ব্যর্থ হয়। তাই শত চেষ্টা করলেও দু'চোখের পাতা এক করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। ঘামে বিছানা-বালিশ ভিজিয়ে একাকার হওয়ার জোগার। যদি আপনার অবস্থা ঠিক এরকমই হয় তাহলেগরমের রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমের জন্য জেনে নিন কিছু উপায়।
ঘরের ভেতর সাদা বা হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করুন, যা রোদের তাপ প্রতিফলিত করে। দিনের বেলায় জানলায় পর্দা টাঙিয়ে রাখুন যাতে ঘর বেশি গরম না হয়।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে সম্ভব হলে গোসল করে নিন। তা না হলে অবশ্যই হাত পা ভালো করে ধুয়ে নিন, দুই হাতের কবজি ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিন এবং ঘাড়ে, গলায় পানি দিন।
বিছানার কাছে পানি ভর্তি একটা স্প্রে রাখুন। গাছে পানি দেওয়ার স্প্রে হলেও চলবে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঘাড়ে-মুখে হালকা পানি স্প্রে করতে পারেন।
একটা রুমাল বা এক টুকরো নরম কাপড় পানিতে ভিজিয়ে ঘণ্টাখানেক ফ্রিজের ভিতর রেখে দিন। শোয়ার সময় কাপড়টা কপালে দিয়ে রাখুন। এটি মাথা ঠাণ্ডা করবে এবং দ্রুত ঘুমোতেও সাহায্য করবে।
গরম অতিরিক্ত অনুভূত হলে অল্প ভেজা টি-সার্ট বা মোজা পায়ে দিয়েও ঘুমোনোর চেষ্টা করতে পারেন। এটি শরীর ঠাণ্ডা করবে এবং ঘাম রোধ করবে।
অবশ্যই সুতি এবং নরম কাপড়ের বিছানার চাদর ব্যবহার করুন। বিছানার চাদর ও বালিশের কভার নিয়মিত পরিস্কার করে ব্যবহার করবেন।
দিনে যতটা সম্ভব পানি পান করে সুস্থভাবে কাটানোর চেষ্টা করুন। এরপরও ঘুম না এলে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করুন, তাতে রাতের ঘুম ভালো না হলেও বাড়তি চাপের কারণে পরের দিন খারাপ যাবে না, বরং সৃষ্টিশীল হয়ে উঠতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ফিমেলফার্স্টের এক প্রকাশনায় এ বিষয়ে ঘুম বিশেষজ্ঞ নেরিনা রামলাখান জানিয়েছেন, মানুষের দেহ এবং মস্তিষ্কের মধ্যে তাপমাত্রার একটা পার্থক্য প্রয়োজন হয়। দেহের কিছুটা উষ্ণতা আর মস্তিষ্কের শীতলতা প্রয়োজন হয়। পরিবেশের তাপমাত্রা বেশি হয়ে গেলে দেহ মগজের এই তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও নিজেদের শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার চেষ্টা করতে পারি এবং গরমের রাতেও নিশ্চিন্তে ঘুমোনো যেতে পারে।