সানবাথের কারণে শরীরে মধ্যে এমন উপাদান তৈরির হয় যার ফলে ব্যক্তির আচরণ মাদকাসক্তের মতো হতে পারে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুল টিমের গবেষকরা এই দাবি করেন।
সূর্যালোক প্রাণীদেহে এন্ডোরফিন নামে এক ধরনের উপাদান তৈরি করে যা মরফিনের মতো মাদকে পাওয়া যায়। 'জার্নাল সেলে' এ প্রকাশিত প্রবন্ধে তারা এ তথ্য দেন।
ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে করে তারা এ ফলাফল পান। পিঠ শেভ করা একটি ইঁদুরকে টানা ছয় সপ্তাহ ধরে প্রত্যেক দিন আধা ঘণ্টার জন্য সূর্যালোকে রাখা হয়। গবেষকরা দেখতে পান, আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির কারণে শরীরে প্রোপাইওমেলানোকোরটিন নামে এক ধরনের প্রোটিন উৎপন্ন হয়। যার ফলে পিঠের বর্ণ তামাটে হয়ে যায়। এর পাশাপাশি এন্ডোরফিনের মতো আসক্তিজনক উপাদানও তৈরি হয়।
মানবদেহে এন্ডোরফিনের কার্যক্রমের সঙ্গে হেরোইন ও মরফিনের মতো মাদকের কার্যক্রমে সাদৃশ্য রয়েছে। এন্ডোরফিনের ফলে ওই ইঁদুরটির আচরণের মধ্যে আসক্তি লক্ষ্য করা যায়। তবে মাদকাসক্তরা যেভাবে মাদক খুঁজে বেড়ায় ঠিক সেভাবে ইঁদুরটি সূর্যালোক খোঁজার চেষ্টা করেনি।
গবেষকরা আরো জানান, সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে এ ধরনের আসক্তি এড়ানো সম্ভব হবে।