অনেকেই আছেন যারা নানা কাজে অজুহাত তৈরি করে থাকেন। কিন্তু এটা আপনাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। কারণ অজুহাত তৈরিতে বেশির ভাগ সময় মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। বিশেষজ্ঞরা অন্তত পাঁচটি অজুহাত তৈরি থেকে বিরত থাকতে বলেছেন যা মনের সুখ কেড়ে নিতে পারে।
আমি অনেক ব্যস্ত: নাগরিক জীবনে ব্যস্ততার শেষ নেই। একটি কাজ শেষ করে অন্য কাজ শুরু করার মধ্যেই যেন জীবন বাঁধা পড়ে যাচ্ছে। অনেক সময় আমরা অন্য একটি কাজ করতে না পারার অজুহাত হিসেবে ব্যস্ততাকে দাঁড় করিয়ে দেই। কিন্তু এটা করবেন না। একটু ধাতস্থ হোন। শরীর ও মনকে বিশ্রাম দিন। তারপর আবার কাজে ডুবে যান।
এটি বেশ ব্যয়বহুল: সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেই আমাদের চলতে হয়। কিন্তু যদি এমন হয়, সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে কিছু করলে জীবনের অসীম তৃপ্তি আসে তবে তাকে গ্রহণ করাই ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো জিনিসের জন্য নয়, শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার জন্য সাধ্যের বাইরে পা দিলে আমাদের সুখের মাত্রা মাত্রাছাড়া হয়ে যায়।
ছুটি নেওয়া একেবারেই অসম্ভব: কাজ নিয়ে আপনি যত ব্যস্তই থাকুন না কেন, ছুটি নেওয়া সম্ভন নয় এটা নেহায়েত বাজে একটা অজুহাত। সাপ্তাহিক ছুটির বাইরে মাঝে মাঝেই কাজ থেকে ছুটি নিয়ে পরিবার বা প্রিয়জনের সঙ্গে কিংবা চাইলে একাই দূরে কোথাও থেকে ঘুরে আসুন। এতে আপনার যাপিত জীবনে সুখ ও তৃপ্তির মাত্রা এক লাফে বেড়ে যাবে। আর ছুটিকালীন সময়ে মোবাইল ও ইন্টারনেট থেকে দূরে থাকুন।
আমি এটা জানি না: অনেক সময়ই নতুন অভিজ্ঞতা দুঃস্বপ্নের জন্ম দিতে পারে। কিন্তু অভিজ্ঞতা অর্জনের চেয়ে উত্তম কিছু নেই। জীবনের সব বাস্তব শিক্ষাই আসে অভিজ্ঞতা থেকে। আবার অভিজ্ঞতার চর্চা আমাদের আরো দক্ষ করে তোলে। তাই কোনো কিছু না জানার কথা বলা উচিত নয় এবং এটা কোনো অজুহাতও হতে পারে না।
এই কাজটা পরে করবো: আমরা অনেক কাজই পরে করবো বলে রেখে দিই। আসলে এটাও এমন এক অজুহাত যা শান্তি বিনষ্ট করবে। যেকোনো সময়ের কাজ যদি আপনার লক্ষ্য হয়ে ওঠে তবে সেই কাজ করাতে এক ধরনের তৃপ্তিদায়ক অনুভূতি রয়েছে। তাই অন্য কারো কাজ আগামীর জন্য না ফেলে রেখে এখুনি করে দিন। দেখবেন সুখানুভূতি হবে।