যারা মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন কিন্তু শরীর থেকে বাড়তি মেদটুকু ঝরিয়ে ফেলতে চান টক দইয়ের কথা শুনলেই তাদের মুখ শুকিয়ে যাবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের জন্য একটি আশাদায়ক তথ্য হলো কিছুদিন দাঁতে দাঁত চেপে টক দই খাওয়ার পর দেখবেন কেমন করে জানি টক দই আপনার পছন্দের খাবার হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে আপনি যা করবেন তা হলো রোজ অল্প একটু টক দই খান। ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়ান। একদিন মনে হবে, আরে এটা খেতে তো মোটেই তেমন খারাপ নয়। এবং আপনি আগ্রহ নিয়েই টক দই খেতে থাকবেন।
টক দই বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। যেমন: বোরহানি, লাচ্ছি, সালাদে, রান্নায় এমনকি টক দইয়ের সঙ্গে ফল, মধু,বাদাম ইত্যাদি মিশিয়েও খাওয়া যায়।
কম চর্বিযুক্ত টক দই একটি ভালো স্ন্যাকস। কারণ এটি খেলে পেট ভরা বোধ হয়। তাই পুষ্টিহীন খাবার বা বেশি ক্যালরিযুক্ত জাঙ্ক ফুড না খেয়ে পুষ্টিকর টক দই খেলে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরে যাবে। এছাড়া এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, শরীর যখন প্রচুর ক্যালসিয়াম পায়, তখন তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আর যখন ক্যালসিয়ামের অভাব হয়, তখন শরীরে মেদ জমতে থাকে।
কতটুকু টক দই খাওয়া যাবে:
একবারে এক কাপ টক দই খাওয়া যায়। বেশি বেশি কোনোকিছুই ভালো নয়, টক দইয়ের ক্ষেত্রেও কথাটা প্রযোজ্য। সারাদিনে একচামচ করে কিছুক্ষণ পর পর টাক দই খেতে পারেন বা একবারে এক কাপ খাবেন।
নিজের হাতেই পাতুন টক দই:
যা যা লাগবে:
- দুধ ১ লিটার
- পানি ১ কাপ
- আগের দই বা দইয়ের বীজ ১ টেবিল চামচ
- ১টি মাটির হাঁড়ি।
কীভাবে পাতবেন টক দই:
দুধের সঙ্গে ১ কাপ পানি মিশিয়ে নিন। মাঝারি আঁচে পাঁচ মিনিট চুলায় রাখুন। দুধে ফুটতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে দিন। মৃদু আঁচে ১৫ মিনিট দুধ রাখুন। মাঝেমধ্যে দুধ নেড়ে দিন। দুধ ঘন হলে চুলা থেকে নামিয়ে পুনরায় নাড়তে থাকুন। এরপ দুধ কিছুটা ঠাণ্ডা হলে মাটির হাঁড়িতে ঢালুন। এর মধ্যে আগের দই অর্থাৎ দইয়ের বীজ দিয়ে নেড়ে দিন এবং ঢেকে রাখুন। দই জমতে ৫/৬ ঘণ্টা সময় লাগবে। ব্যস, হয়ে গেল টক দই।
ফ্রিজে রেখে প্রতিদিন নিয়ম করে খেতে থাকুন টক দই। মেদ ঝরতে থাকবে এবং শরীরে বাড়তি মেদ জমবে না।