প্রতিটি নারীই সুন্দর আর ঝলমলে চুল পেতে চান। কিন্তু কী করে জানবেন যে আপনার চুল সুস্থ ? এটা জানা যাবে বেশ কিছু সহজ উপায়ে। এখানে সাতটি টিপস দেওয়া হচ্ছে যাতে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার চুলের স্বাস্থ্যগত দিক:
১. আপনার চুল কি ঝলমলে? তাহলে আপনার চুল সুস্থ। কারণ সুস্থ চুলের প্রধান লক্ষণ হল ঝলমলে ভাব। যদি চুল নির্জীব ও রুক্ষ হয় তাহলে চুলে কোন ঝলমলে ভাব থাকেনা।
২. আপনার চুল যদি হয় মসৃণ আর রেশমী কোমল তাহলে আপনার চুল দারুণ সুস্থ। ড্যামেজড চুল খুব খসখসে হয়। তাই সুস্থ চুলের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হল মসৃণতা।
৩. একটা খুব স্বাভাবিক বিষয় যে দিনে ৫০ থেকে ১০০টি চুল সবারই পড়ে। এটা নিয়ে চিন্তার বিষয় নেই। কিন্তু যদি এর থেকে বেশি অর্থাৎ চুল আঁচড়াতে ও অন্যান্য সময়েও চুল পড়ে তার মানে চুলে প্রতিদিনের পুষ্টির অভাব আছে। অর্থাৎ চুলে পুষ্টি সঠিক পরিমাণে হচ্ছে না।
৪. ধোয়ার পরে যদি চুল জটমুক্ত হয় তাহলে আপনি সুন্দর চুলের অধিকারী। অনেকেই নিজের চুলের জট ছাড়াতে কোন সিরাম ইত্যাদি ব্যবহার করেন মানে আপানার চুল সুস্থ নয়।
৫. চুল যদি দিনে দিনে তার আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে তাহলে নিশ্চয়ই সেটা চিন্তার বিষয়। এটা বোঝার সব থেকে সহজ উপায় হলো আপনি চুল ধোবার পরে যদি চুল খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে যে চুলে আর্দ্রতার অভাব রয়েছে।
৬. আজকাল কমবেশি সবারই ডগাচেরা চুলের সমস্যা আছে। সুস্থ চুলের ডগা ফেটে যাবে না। অর্থাৎ সুস্থ চুলের বৃদ্ধি সবসময় হয়। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার জন্য কিন্তু আপনার অস্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন দায়ী। তাই চুলে হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার এখনই বন্ধ করুন, রাতে শোবার আগে চুল বেঁধে শুতে হবে। আর যদি চুলের ডগা ফেটে যায় তার জন্য মাঝে মাঝেই চুলকে ট্রিম করতে হবে।
৭. সুস্থ চুলের শুরু সুস্থ স্ক্যাল্পের থেকে। হেলদি স্ক্যাল্প মানে কোন খুশকি না থাকা। অনেক বেশি পরিমাণ তেল যদি চুলে থাকে তা আপনার চুলকে প্রাণহীন করে দেবে। এর সঙ্গেই যদি থাকে খুশকির সমস্যা তাহলে আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। এক্ষেত্রে গোসলের আগে হট অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে ও তারপরে মিনিমাম ৩০ মিনিট মাথাটা একটা তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে ও শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে ৩দিন শ্যাম্পু করতে হবে।
উপরে উল্লিখিত এই সবকটা বৈশিষ্টই যদি আপনার চুলে বর্তমান থাকে তাহলে আপনার চুল অবশ্যই সুস্থ। মনে রাখতে হবে আমাদের রোজকার জীবনযাপনই কিন্তু নির্জীব, রুক্ষ চুলের জন্য দায়ী হয়।