স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই পরিত্যাগ করছেন মদ-সিগারেট খাওয়া। কারণ ধূমপান বিষপান। ধূমপানে ক্যান্সার হয়। মদ খেলে শেষ হয়ে যাবে লিভারসহ শরীরের আরও অনেক কল-কবজা। কিন্তু নিয়মিত শিক-কাবাব বা বারবিকিউ চিকেন যাদের প্রতিদিনকার খাবারের তালিকায় রয়েছে তারা কি ভেবে দেখেছেন কতটুকু ঝুঁকির মুখে আছেন? অনেকেই হয়ত জানেন না এই ঝলসানো মাছ ও মাংস থেকেই হতে পারে মরণঘাতি ক্যান্সার। কেই হয়ত জেনেও গুরুত্ব দেন না।
ক্যান্সার সম্পর্কিত একটি সমীক্ষা বলছে, নুন ও তেল মাখানো মাছ বা মাংসকে সরাসরি আগুনে ঝলসানো হলে তার মধ্যে তৈরি হয় খাদ্যনালীতে ক্যান্সার তৈরির ক্ষমতাসম্পন্ন কারসিনোজেন। অর্থাৎ যে খাবার খেলে তা থেকে খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
ভারতের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক এসএম চন্দ্রমোহনের মতে, মদ্যপান বা ধূমপানে ক্যান্সারের যতটা সম্ভাবনা থঅকে, সরাসরি আগুনে রান্না করা বা ঝলসানো খাবার সেই সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। ১০১ জন ক্যান্সার আক্রান্তের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন বেশ কয়েকজন মেডিকেল ছাত্র। তাতে জানা গেছে, যাঁরা ঝলসানো মাংস খান, তাঁদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি আর ৫জন সুস্থ মানুষের থেকে ৯ গুণ বেশি। যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৪ গুণ বেশি।
তবে এই সমীক্ষাই প্রথম নয়। এর আগে আমেরিকার 'ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট' এর এক সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছিল, মাংস রান্নার জন্য ব্যবহৃত কয়লা বা গ্যাস থেকে 'পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন' রাসায়নিক নিঃসৃত হয়। সেই রাসায়নিক মাংসের সঙ্গে মিশে গেলে প্রাণীদেহে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪/রাসেল/আহমেদ