প্রত্যেকের চুলের কিছু স্বাভাবিক ধরন আছে। কারও চুল সোজা, কারো কোঁকড়া, কারও আবার মাঝামাঝি। কারও চুল মোটা, কারও সরু। হেয়ার রিবন্ডিং একটি কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট। এটি চুল সোজা করে উজ্জ্বল ও মোলায়েম ভাব এনে দেয়। হেয়ার রিবন্ডিং লোশন চুলের গঠনকে ভেঙ্গে একে “স্ট্রেইট লুক” দেয়। চুলের ধরণ, লম্বা, পাতলা না ঘন তার উপর চুলের রিবন্ডিং পদ্ধতি নির্ভর করে। চুল রিবন্ডিং করতে ৭-৮ ঘন্টা লেগে যায়।
হেয়ার রিবন্ডিং করালে চুলের সাজটা খুব সহজেই হয়ে যায়। চুলকে সহজে নিয়ন্ত্রন করা যায়। চেহারায় আনা যায় নতুনত্ব। তবে রিবন্ডিং পরবর্তী সময়ে চুলের একটু বাড়তি যত্ন দরকার হয়। তা না হলে চুলের আগা ফাটা ও চুল রুক্ষ এবং দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
ক্ষতিকর দিক
হেয়ার রিবন্ডিং স্টাইলে, চেহারায় নতুনত্ব আনে ঠিকই তবে পরোক্ষভাবে দেহের ক্ষতিসাধন করতে পারে বেশ। মাথাব্যথা, মাথার ত্বক চুলকানো, জ্বালাপোড়া, চুল পড়া, নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এর অন্যতম কারণ রিবন্ডিংয়ের সময় যে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তা চুলের গোড়া নরম করে দেয়।
সমস্যার সমাধান
চুলে নিয়মিত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলে এ ধরনের সমস্যা কমিয়ে আনা যায়। ভেজা অবস্থায় চুল কোনোভাবেই বাঁধা যাবে না। সর্বদা ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করতে হবে। মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি, ২০১৫/আহমেদ