বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল কুল। বরই নামেও ফলটি পরিচিত। বাংলাদেশে সচরাচর যে বরইগুলো চাষ হয় তা হল: ঢাকা- ৯০, নারিকেলি, কুমিল্লা কুল, আপেল কুল, তাইওয়ান কুল ও থাইকুল। এই কুলগুলোর সাথে আর একটি কুলের নতুন সংযোজন তা হল এফটিআইপি বাউকুল-১।
কুল সাধারণত পাকা ও টাটকা অবস্থায় খাওয়া হয়। কুল খাদ্য হিসাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। মিষ্টি স্বাদের জন্য প্রায় সব বয়সের মানুষই কুল পছন্দ করে। আসুন জেনে নেই বরইয়ের গুণাগুণ:
বিভিন্ন খনিজ এবং ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস হচ্ছে কুল। কুলে সাধারণ ৮৫.৯ ভাগ পানি, ০.৮ ভাগ আমিষ, ০.১ ভাগ স্নেহ, ১২.৮ ভাগ লৌহ থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম শাঁসে ৫৫ ক্যালরি শক্তি, ৭০ আই. ইউ. ক্যারোটিন ও ৫০-১৫০ মিঃ গ্রাঃ ভিটামিন সি বিদ্যমান।
বরই খাওয়ার উপকারিতা:
আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রজাতির বরইয়ে বিদ্যমান ভিটামিন সি গলার ইনফেকশনজনিত অসুখ যেমন-টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বাতে ঠাণ্ডাজনিত লালচে ব্রণের মতো ফুলে যাওয়া, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া রোধ করে। যকৃতের কাজের ক্ষমতা অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয় বরই।
বরইয়ের রস অ্যান্টি ক্যান্সার ড্রাগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।এই ফলে রয়েছে ক্যানসার সেল, টিউমার সেল, লিউকোমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ শক্তি।
উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফল যথেষ্ট উপকারি।রক্ত বিশুদ্ধকারক হিসেবে এই ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। ডায়রিয়া, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, রক্তের হিমোগ্লোবিন ভেঙে রক্তশূন্যতা তৈরি হওয়া, ব্রঙ্কাইটিস-এসব অসুখ দ্রুত ভালো করে বরই। খাবারে রুচি আনার জন্যও এই ফলটি ভূমিকা পালন করে।
মৌসুমি জড়, সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে গড়ে তোলে প্রতিরোধ।
স্ট্রেস হরমোন আমাদের মনে অবসাদ আনে, দুঃখ-কষ্টের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, নিদ্রাহীনতা তৈরি করে। নিদ্রাহীনতা দূর করে এই ফল। এবং স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণের মাত্রা কমায় এই ফল।
বরইয়ের খোসা খাবার হজমে সাহায্যে করে। উচ্চমানের ভিটামিন এ রয়েছে এই ফলে। আর ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং কোলস্টেরল কমানো জন্য রয়েছে এর চমকপ্রদ ক্ষমতা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা