বারান্দাটা যদি সুন্দর, পরিপাটি করে সাজানো থাকে তো অবসরে সানন্দে চায়ের কাপ হাতে চলে যেতে পারেন। চলুন তবে জেনে নিই বিশ্রামের জায়গা বারান্দা কিভাবে সাজাবেন।
আপনার ঘর লাগোয়া বারান্দাটা যদি ছোট হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্লান্ট আর মৌসুমি ফুলের গাছ রাখাই ভালো। আর তার পাশ দিয়ে ছোট কয়েকটা মোড়া বা টুল রেখে দিন। ব্যস হয়ে গেলো বসার ব্যবস্থা।
আর বারান্দার আয়তন একটু বড় হলে ডিভান বা ছোট দুটি সোফাও রাখতে পারেন বারান্দায়। সঙ্গে অবশ্যই ইনডোর প্লান্ট এবং ফুলের গাছ সৌন্দর্য বাড়াবে বহুগুণে। আয়তন ছোট-বড় যা-ই হোক না কেন, যদি রোদ আসে তো যেকোনো ধরনের গাছ দিয়েই সাজাতে পারেন।
বারান্দার সামনের দিকটাতে ঝুলিয়ে দিতে পারেন কিছু গাছের টব। তবে মাথায় রাখবেন টবগুলো যেনো খুবই আকর্ষণীয় হয়। এখন বাজারে কারুকাজ করা অনেক সুন্দর মাটির টব পাওয়া যায়। তাছাড়া সিরামিক, তামা, পিতল বা সিমেন্টের টবেও রাখতে পারেন নিজের প্রিয় গাছটি।
মাটির চাড়িতে পানি দিয়ে তাতে কিছু ফুল এবং মোম দিন। বারান্দার এক কোণে রেখে দিন। অনেকটা স্নিগ্ধ ভাব আসবে বারান্দায়।
বারান্দায় গাছ লাগাতে হলে পাতাবাহার, মানিপ্লান্ট, বনসাই, ছোট পাম গাছ, ফরচুন ট্রি, চায়নিজ কামিনী রাখতে পারেন। এতে করে বারান্দায় সবসময় থাকবে রঙের খেলা, সেই সঙ্গে অর্কিড সাজানো যেতে পারে।
পাটের তৈরি শিকা ঝুলিয়ে তাতে রঙিন মাটির হাঁড়ি রাখুন। এবার তার মধ্যে লতানো গাছ লাগিয়ে দিন। বারান্দার গ্রিলের সৌন্দর্য বেড়ে যাবে এক ঝটকায়। বসার জন্য বেতের সোফাই ভালো মানাবে। আবার ছোট বারান্দার ক্ষেত্রে মোড়া বা টুল বা নিদেনপক্ষে একটা ছোট রকিং চেয়ার রাখতে পারেন।দেয়াল প্লাস্টার ছাড়া রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দেয়ালে যেকোনো ধরনের গ্লসি ধাঁচের রং ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়াও টেরাকোটা, টাইলস বা রাস্টিক টাইলস লাগালেও ভালো দেখাবে।দেয়ালে ঝুলন্ত শোপিস, চিত্রকর্ম ঝোলাতে পারেন।
বারান্দায় দেয়ালের রং খানিকটা উজ্জ্বল হলে ভালো দেখাবে। এ ক্ষেত্রে লাল, কমলা, লেমন, সবুজাভ হলুদ ভালো। তারপর বিকেলে চায়ের কাপ হাতে প্রিয়জনের সাথে বসুন বারান্দায়। মনে হবে ঘরের মধ্যেই এ যেনো অনেকটা স্বস্তির যায়গা।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ মার্চ, ২০১৫/ রশিদা