সাধারণত রক্তচাপ বলতে সিস্টেমিক প্রবাহের ধমনিক প্রবাহকে বোঝায়। প্রতিটি হৃৎস্পন্দনের সময় একবার সর্বোচ্চ চাপ (সিস্টোলিক) এবং সর্বনিম্ন চাপ (ডায়াস্টলিক) হয়। মূলত হৎপিন্ডের সংকোচন প্রবণতাই রক্তচাপের প্রধান কারণ। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে মানুষ বেশিরভাগ সময়ই ওষুধ ব্যবহার করে থাকে। তবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করেই কিন্তু এটা কমানো সম্ভব। এমন কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে; যা সব রক্তচাপকেই নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমানোর ৭টি ৭ উপায় নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো : হেলথ.কম:
ব্যায়াম : ব্লাড প্রেসার কমানোর একটি কার্যকারী উপায় হচ্ছে ব্যায়াম। প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলেই এক সপ্তাহ পর ব্লাড প্রেসার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে। এজন্য হাঁটা, দৌঁড়ানো, সাঁতার কাটা এবং সাইকেল চালানোর মতো আরও অনেক কাজ করতে পারেন আপনি।
কলা : পটাসিয়ামের প্রধান উৎসই হচ্ছে কলা। তাই রক্তচাপ কমাতে প্রতিদিন কলা খান। এছাড়া অন্যান্য যেসব খাবারে পটাসিয়াম রয়েছে যেমন- আলু, কমলা লেবুর জুস এবং দই ইত্যাদি খাবারও খাওয়ার চেষ্টা করুন।
লবণ কম খান : ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে লবণ কম খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তাদের দিনে ১৫শ মিলিগ্রামেরও কম লবণ খাওয়া উচিত।
ধুমপান বর্জন : ধুমপায়ীদের সবচেয়ে বেশি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি রয়েছে। তাই উচ্চ রক্তচাপ থেকে বাচঁতে চাইলে তা এড়িয়ে চলুন।
ওজন কমান : অতিরিক্ত ওজন উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম একটি কারণ। তাই এটি নিয়ন্ত্রণের ওজন কমিয়ে ফেলুন। শুধু রক্তচাপ নয়, অতিরিক্ত ওজন হার্টের কার্যক্রমকেও বাধাগ্রস্ত করে। তাই এটি কমিয়ে ফেলাই ভালো।
অ্যালকোহলের মাত্রা কমানো : ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে অ্যালকোহলের মাত্রা কমিয়ে ফেলুন। গবেষণা দেখা গেছে, দিনে ২ প্যাকের বেশি অ্যালকোহল পান করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে।
ধ্যান বা মেডিটেশন : প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ম করে প্রার্থনা, ধ্যান বা মেডিটেশন করলে ব্লাড প্রেসার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এছাড়া নিয়ম করে যোগ ব্যায়াম করলেও ব্লাড প্রেসার কমানো সম্ভব। সূত্র : হেলথ.কম
বিডি-প্রতিদিন/ ৭ মার্চ ২০১৫/শরীফ