জাপানের সর্বশেষ চিকিৎসা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিপ্রো জেএমআই ডায়ালাইসিস সেন্টারে কিডনি রোগীদের দেশেই আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে যারা আগে ডায়ালিসিসের জন্য নিয়মিত বিদেশ যেতেন, তারা এখন দেশেই এ সুবিধা ভোগ করতে পারছেন।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক কিডনি দিবসের প্রাক্কালে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পান্থপথে নিপ্রো জেএমআই ডায়ালাইসিস সেন্টারে ‘মানসম্মত ডায়ালাইসিস চিকিৎসা প্রদান (fostering quality dialysis treatment)’ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সেন্টারের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. নাসিম মুসা।
ডা. মুসা বলেন, জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল রাজ্জাক ও নিপ্রো এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ম্যানেজার সাদেকীন নেওয়াজ খান বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই সুন্দর পরিবেশে বাংলাদেশে একটি আধুনিক ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করা যায় কিনা, তা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকেন। পরে জাপানের সহযোগিতায় নিপ্রো জেএমআই কোম্পানির সাথে ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকার পান্থপথে ‘নিপ্রো জেএমআই ডায়ালাইসিস সেন্টার লি.’ এর যাত্রা শুরু করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. মুসা বলেন, আমাদের ডায়ালাইসিস সেন্টারটি অন্য সব ডায়ালাইসিস সেন্টার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। একটি মানসম্পন্ন ডায়ালাসিস সেন্টার পরিচালনার জন্য বিভিন ধরনের মেশিন প্রয়োজন হয়। আর একমাত্র তাদের সেন্টারেই ১৫-২০ রকম ডায়ালাইজার রয়েছে, যা দেশে আর কোন প্রতিষ্ঠানেরই নেই। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একেক জন রোগীর প্রয়েজনানুযায়ী একেক ধরনের ডায়ালাইজার দিয়ে ডায়ালাইসিস করা হয়ে থাকে। এছাড়া প্রতিটি ডালাইসিস চলার সময় সার্বক্ষণিক একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার উপস্থিত থাকেন।
তিনি আরও বলেন, ডায়ালাইসিসের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার হয় রিভার্স অসমোসিস বা RO মেশিন। আমাদের RO মেশিনটি ডাবল ARO সিস্টেম। যা বাংলাদেশে আর কোন ডায়ালাইসিস সেন্টারে নেই। এর পানি প্রতিমাসে আইসিসিডিআরবি থেকে পরীক্ষা করা হয়। যাতে করে কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, জীবণু কিংবা অন্য কোন কারণে রোগীদের কোনধরনের সমস্যা না হয়।
একটি ভালো মানের ডায়ালাইসিস সেন্টার বৈশিষ্ট্যসমূহ সমন্ধে বলতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, ভালো মানের ডায়ালাইসি সেন্টার নির্বাচন করার সময় প্রথমেই দেখতে হবে বিশুদ্ধ ও আধুনিক পদ্ধতিতে শোধিত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা আছে কিনা, ভালো মানের ডায়ালাইজার, ডায়ালাইসিস প্রদানে কর্মীরা দক্ষ কিনা, পৃথক পজেটিভ ইউনিট আছে কিনা। এছাড়া হেপাটাইটিস-বি, সি এবং বি, সি উভয়ের ক্ষেত্রে পৃথক ডায়ালাইসিস মেশিন আছে কিনা, সাধ্যের মধ্যে ডায়ালাইসিসের ব্যয়, আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে পরিচয় করানো ও উপদেশ প্রদান। যেগুলোর প্রতিটিই আমাদের ডায়ালাইসিস সেন্টারে আছে।
তিনি বলেন, কোন রোগীর ব্লাড সুগার হঠাৎ করে কমে গেলে সাধারণত স্যালাইন দিয়ে কন্ট্রোল করা হয়। আমরা সেখানে অন্য পদ্ধতিতে এটা করে থাকি। তাছাড়া কিছুক্ষণ পরপর রোগীর ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেসার মাপা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেএমআই গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার এসকে আব্দুল হালিম, জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মমতাজ উদ্দীন আহ্মেদ, জেনারেল ম্যানেজার (হেড অব এইচআর) মো. আলী হোসেন এবং এডভাইজার এমকে রাজেক প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/১২ মার্চ, ২০১৫/মাহবুব