মশা ছোট প্রাণী হলেও এটি খুব বিরক্তিকর ও ক্ষতিকর একটি প্রাণী। বিশেষ করে কানের কাছে এদের গুনগুন শব্দ খুৃবই বিরক্তিকর। আর কামড়ের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কেতো বলার প্রয়োজন নেই। এদের কামড়ে চামড়ায় ব্যথা, ফোলা, চুলকানি এবং মাঝে মাঝে রক্তপাতের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। আবার অ্যানোফিলিশ মশার কামড়ে ম্যালেরিয়াও হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর তো আছেই। তাই মশার কামড়ের পর যে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে কি করবেন তা নিয়েই নিচে আলোচনা করা হলো।
বরফ ব্যবহার : মশার কামড়ে বরফের টুকরো অথবা ঠাণ্ডা প্যাক আশ্চর্যজনকভাবে কাজ করে। বরফ কামড়ের স্থানটিকে ঠাণ্ডা করে যা ফোলাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া মশার কামড়ের স্থানে গামছায় মোড়ানো বরফের টুকরো ১০ মিনিট রাখলে ধীরে ধীরে ফোলা এবং অন্যান্য সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়।
টি ব্যাগ : মশার কামড়ের ফোলাভাব কমাতে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। চা পাতার কষ রক্ত বন্ধ করতেও কাজ করে। এছাড়া মশার কামড়ে মাথা ব্যথা হলেও তা কমাতে সাহায্য করে এই টি ব্যাগ।
বেকিং সোডা পেস্ট : মশার কামড়ের জ্বালা দূর করতে এটি কার্যকর এবং সহজ প্রাকৃতিক উপায়। চুলকানিতেও ভালো কাজ করে এটি। কিছু বেকিং সোডাতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পেষ্ট করে মশার কামড়ানো স্থানে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বেকিং সোডায় থাকা ক্ষার আক্রান্ত এলাকার অম্লিক পিএইচ প্রতিরোধ করে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
আপেল সিডার ভিনেগার : মশার কামড় এবং ফোলা প্রতিরোধে এটি শ্রেষ্ঠ প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে। আপেল সিডার ভিনেগার অনেকটা বেকিং সোডার মতোই কামড় প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি সংক্রামিত স্থানে লাগালে তা ওই স্থানের পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে।
অ্যালোভেরা : অ্যালোভেরাও মশার কামড় প্রতিরোধে সহায়ক। এটি সূর্যের তাপ থেকে পুড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও রক্ষা করে। পুদিনা পাতা : পুদিনা পাতা পেস্ট করে কামড়ের স্থানে লাগালে ব্যথা কমে যায়।
অ্যালকোহল : মশার কামড়ে সৃষ্ট চুলকানি কমাতে সাহায্য করে অ্যালকোহল। একটি পরিষ্কার কাপড়ে কিছুটা অ্যালকোহল নিয়ে তা আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটা আক্রান্ত স্থানকে ঠান্ডা রাখবে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করবে।
টুথপেষ্ট : চুলকানির স্থানটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে আক্রান্ত স্থানটিতে টুথপেষ্ট লাগালে ধীরে ধীরে চুলকানি ও ফোলা কমে যায়।
মধু : মধু শুধু ত্বকের জন্যই নয়; স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি। আক্রান্ত স্থানে মধু লাগালে তা চুলকানি কমায়। একই সাথে এটি ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে। মধু ময়েশ্চারাইজারের কাজ করায় আক্রান্ত স্থানের ফোলা ভাব কমাতেও সাহায্য করে এটি।
লেবু : এটিও মশা কামড়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়। দুই টুকরা লেবু আক্রান্ত স্থানে ঘষলে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
পেয়াজ এবং রসুন : পেঁয়াজ এবং রসুন মশার কামড় থেকে সৃষ্ট ফোলা এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া এগুলোর গন্ধ কীটপতঙ্গ এবং মশা মাড়তেও সাহায্য করে। আক্রান্ত স্থানে পেঁয়াজ বা রসুন লাগানোর কয়েক মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। তাতে ধীরে ধীরে ফোলা এবং চুলকানি কমে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ মার্চ ২০১৫/শরীফ