মেদভুড়ি নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। পেটে মেদ জমতে সময় না নিলেও এ থেকে রেহাই পেতে পোড়াতে হয় অনেক কাঠখড়। তবুও যেন কমতে চায় না। ১০ দিনের খাটাখাটুনিতে এক পাউণ্ড কমলে একদিনের গাফিলতিতে আবার সেটি পূরণ হয়ে যায়। শহুরে কর্মজীবনে পেটের বাড়তি মেদ কমানো বেশ কষ্টসাধ্য।
স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পেটের মেদ কমানোর জন্য সাধারণ কিছু অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে:
১. মেদ কমাতে লেবু দারুণ কার্যকর। পেটের চর্বি কমাতে চাইলে লেবুর রস খেয়ে সকাল শুরু করুন। এক গ্লাস কুসুম-কুসুম গরম পানিতে খানিকটা লেবুর রস নিয়ে সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে সকালে খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে এই শরবত খাওয়ার অভ্যাস হজম প্রক্রিয়ায় ও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
২. বাঙালি হয়ে ভাত খাওয়া চলবে না, এ কথা শুনলে অনেকেই আঁতকে ওঠেন। ধবধবে শাদা ভাতের প্রতি আকর্ষণই অন্যরকম। তবে পেটের চর্বি কমাতে চাইলে ভাত এড়িয়ে চলতে হবে। এর বদলে হোল গ্রেইন খাবার, যেমন- লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি, ওটস ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
৩. পেটের মেদ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে মিষ্টিজাতীয় খাবার, চিনিসমৃদ্ধ কোমল পানীয় এবং অতিরিক্ত চর্বি ও তেলজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এসব খাবার শরীরের মেদ বাড়িয়ে দেয়।
৪. প্রতিদিন প্রচুর পানি খেতে হবে। কারণ পানি হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং শরীরে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। পেটের মেদ কমানোর জন্য পানি পান করা খুবই কার্যকর।
৫. প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিন কোয়া কাঁচা রসুন খেয়ে তারপর এক গ্লাস লেবুর রস মেশানো পানি খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভালো হয় এবং বাড়তি ওজন তাড়াতাড়ি কমে।
৬. পেটের মেদ ঝরাতে শাকসবজি ও ফল বেশি খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় প্রচুর ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতিও পূরণ হবে। মেদও ঝরতে থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ মার্চ ২০১৫/ এস আহমেদ