চীনের রাজধানী বেইজিংসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সীমান্তের চোরাপথ দিয়ে কৃত্রিম ডিম পাচারের রমরমা ব্যবসা চলছে। আর এসব ডিম চলে আসছে বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। কৃত্রিম এই ডিমগুলো দেখতে অবিকল আসল ডিমের মতো হওয়ায় মানুষ ভুল করে কৃত্রিম ডিমকে আসল ডিম ভাবছে। কিন্তু এই নকল ডিম খেয়ে সৃষ্টি হচ্ছে মানবদেহে প্রবেশ করছে বিভিন্ন রোগের জীবাণু।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘দ্য ইন্টারনেট জার্নাল অফ টক্সোকোলজি’তে কৃত্রিম ডিম সম্পর্কে বিশ্লেষণধর্মী এই তথ্যটি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম ডিমে কোনো খাদ্যগুণ ও প্রোটিন থাকে না। বিষাক্ত এই কৃত্রিম বা নকল ডিম তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রেসিন, জিলেটিন। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
কোনো মানুষ যদি দীর্ঘদিন এই ধরনের ডিম খায় তাহেল তার স্নায়ুতন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। নকল ডিমের ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফুসফুসের ক্যান্সারসহ জটিল রোগের কারণ। তাই নিজের ও পরিবারের সুরক্ষায় নকল ডিম চিনে নিন।
১। নকল ডিম সাধারণত ভাঙার পর আসল ডিমের মতো কুসুম এক জায়গায় থাকে না। সহজেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
২। এ ধরণের ডিম অনেক বেশি ভঙ্গুর হয়। ফলে অল্প চাপেই ভেঙে যায়।
৩। কৃত্রিম ডিম আকারে বেশ বড় থাকে। অন্য ডিমের তুলনায় লম্বাটে ধরণের হয়ে থাকে।
৪। নকল ডিম সিদ্ধ করলে কুসুম বর্ণহীন হয়ে যায়।
৫। এর খোলস খুব মসৃণ হয়। রান্নার পর এই ডিমে অনেক সময় বাজে গন্ধ হয়। আসল ডিমের কুসুমের কটু কোনো গন্ধ পাওয়া যায় না।
৬। নকল ডিমকে সাবান বা অন্য কোন তীব্র গন্ধ যুক্ত বস্তুর সঙ্গে রাখলে, ডিমের মাঝে সেই গন্ধ ঢুকে যায়। রান্নার পরেও ডিম থেকে সাবানের গন্ধই পেতে থাকবেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ মার্চ, ২০১৫/মাহবুব