প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই সময়টায় শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে সঙ্গে কর্মজীবী নারীর মানসিক চাপও উচ্চমাত্রায় থাকে। ডায়েট চার্টের মাধ্যমে শরীরে চর্বি কম জমবে। পিঠ এবং পায়ের ব্যথা থেকেও মুক্তি পাবেন। চাকরির সঙ্গে সঙ্গে যোগ হয় সংসারের হাজারও কাজ। এরকম অবস্থায় সবসময় তাজা রান্না করা খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না। কোনও নির্দিষ্ট ফুড রুটিন মেনে চলাও কঠিন হয়ে পড়ে।
যেসব নারী বেশ চাপ নিয়ে চাকরি করেন তাদের কর্মশক্তি কম থাকে। মাঝে মাঝে মিষ্টি খাবার বা জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ইচ্ছেটাও তাদের প্রবল হয়ে ওঠে। আসলে চাপের মধ্যে থাকায় স্ট্রেস হরমোনগুলি কাজ করতে শুরু করে, ফলে শরীরে একটা পুষ্টির চাহিদা দেখা দেয়। সেই পুষ্টির সঠিক জোগান না পেলেই শরীরে অপ্রয়োজনীয় মেদ জমতে থাকে। তাই যারা বেশ চাপের চাকরি করেন তাদের ডায়েট প্ল্যানের প্রথম ধাপই হচ্ছে ঘন ঘন খাওয়া। এছাড়াও এনার্জি আর ফিটনেসের মাত্রা বাড়াতে সপ্তাহে অন্তত তিনবার ব্যায়াম করা জরুরি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজ শুরু করার আগে খেয়ে নিন প্রোটিন শেক। নাশতার সময় বা আগে খেতে পারেন একটা কলা বা মৌসুমি ফল। রুটি-সবজি খেতে পারেন। স্বাদের জন্যে নিতে পারেন সালাদ। শেষ দুপুরে খিদে পেলে একমুঠো ছোলা বা বাদাম খেতে পারেন। বিকেলের নাশতায় বাইরের খাবার না খেয়ে রুটি-সবজিই খান।
সন্ধ্যায় টোস্টের উপর এগ হোয়াইট আর সবজি ছড়িয়ে খেয়ে নিন। ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগেই রাতের খাবার সেরে নিন। মেনুতে রাখুন একটা রুটি, সবজি এবং ডাল। এক টুকরো মাছ বা মুরগিও চলতে পারে।
ডায়েট টিপস
- চাপ (স্ট্রেস) মোকাবিলায় প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই (অ্যান্টি অক্সিডেন্টস), বি কমপ্লেক্স ভিটামিনস এবং ক্যালশিয়াম খেতে পারেন।
- যেভাবেই হোক বাইরের তৈরি খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। শরীর যথাযথ পুষ্টিকর খাবার পেলে শরীরে সহজে ক্লান্তি আসে না।
- ডায়েট ছাড়াও নিজের ঘুমের সময়টা এগিয়ে আনার চেষ্টা করুন। বাড়তি চাপ মোকাবিলা করার জন্যে শরীরের যথেষ্ট বিশ্রাম জরুরি। সপ্তাহে দু’একদিনের বেশি আমিষ জাতীয় খাবার খাবেন না। কেননা আমিষ হজম করতে সময় লাগে যা শরীরের অন্য কাজকর্মকে ব্যাহত করতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ মার্চ, ২০১৫/ রশিদা