আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। আর রমজানে ইফতার করা প্রত্যেক মুসলমানদের জন্যই আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। সারাদিন রোজা রাখার পর বেশিরভাগ সময় মানুষ খেজুর দিয়ে ইফতার করে। খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। তাই রমজানে এর কদরও বেড়ে যায় অনেক বেশি।
খেজুর অতি পরিচিত একটি ফল হলেও মিষ্টি মধুর ছোট এই ফলটির রয়েছে অনেক গুণ। কারণ সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে প্রত্যেকের জন্য প্রতিদিন একটি করে খেজুরই যথেষ্ট।
বলা হয়ে থাকে, বছরে যতগুলো দিন আছে, খেজুরে তার চেয়েও বেশি গুণ রয়েছে। তাই রোজা রাখার পর এটি খাওয়া অনেক দরকার। কারণ এটি শুধু ক্লান্তি দূর করে না, বরং শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনেরও জোগান দেয়।
ইফতারে খেজুর কেন খাবেন? খেজুরে রয়েছে এমিনো এসিড, প্রচুর শক্তি, শর্করা, ভিটামিন ও মিনারেল। রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার কারণে দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। খেজুর শরীরের এই প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ইফতারে খেজুর খাওয়া উচিত।
এছাড়াও খেজুরের রয়েছে আরো অনেক উপকারীগুণ। এগুলো হলো- খাদ্যশক্তি থাকায় দুর্বলতা দূর হয়; খেজুর স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে; হৃদরোগীদের জন্যও খেজুর বেশ উপকারী, খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী; হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক, রুচি বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে, অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্মের সময় খেজুর খেলে জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে দ্রুত প্রসবে সাহায্য করে। এমনকি প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয় এটি; খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি দেয়।
তাই যে কোনো ফলের চেয়ে খেজুরের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তাই প্রতিদিনের ইফতার তালিকায় প্রত্যেক সদস্যের জন্য একটি করে খেজুর রাখুন। এছাড়া নিয়মিত খেজুর খান, সুস্থ থাকুন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ জুন ২০১৫/শরীফ