'রাগ’ এই এক অনুভূতি যখন এটি মানুষের মধ্যে কাজ করে তখন সে কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ তা ভুলে যায়। অধিকাংশ মানুষেরই নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন থাকে না। এই রাগের বসে অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যায়। ক্ষমা পরম ধর্ম হলেও সেই কথা রাগের মাথায় আর মনে থাকে ক’জনের। কথার পৃষ্ঠে বাড়তে থাকে কথা। তর্ক-বিতর্ক। উত্তেজনার বসে রাগে মানুষ এমন কিছুও করে ফেলেন যার জন্য তিনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুুখীন হতে পারেন। রাগ দুঃখ ভালো লাগা খারাপ লাগা এই অনুভূতি কার কতোটা থাকবে সেটে সহজাত। রাগ কমাও বললেই রাগ কমানো যায় না। তবে রাগের বহিঃপ্রকাশ কি হবে তার ওপর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারেন আপনি। তাতেই ধীরে ধীরে কমতে পারে রাগ। দেখে নিন রাগকে কিভাবে নিজের নিয়ন্ত্রনে আনবেন।
০১. মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন, এক থেকে দশ পর্যন্ত উল্টো করে গুনতে পারেন, তাহলে মস্তিস্ককে কিছুটা অন্যদিকে ব্যস্ত রাখা যাবে।
০২. হুট করে কোনো কথা বা কাজ করে বসবেন না, সময় নিন, প্রয়োজন হলে সেই মানুষটার সাথে কিছুক্ষণ কথা বন্ধ রাখুন অথবা রাগের কারণটি থেকে নিজের মনকে অন্যদিকে সরিয়ে নিন।
০৩. যখন আপনি শান্ত হয়ে গেলেন, এবার আপনার রাগের কারণগুলো তার সামনে তুলে ধরুন, ততক্ষণে অপরজনের মাথাও ঠান্ডা হয়ে যাবে, সে ভালোভাবে আপনার কথা বুঝতে পারবে।
০৪. এক্সারসাইজ করতে পারেন, হাঁটাহাঁটি অথবা ওয়েট লিফটিং করতে পারেন।
০৫. আপনি যখন রেগে আছেন স্বাভাবিকভাবেই আপনার মধ্যে নমনীয়তা কাজ করবে না, আর তাই হঠাত্ করে এমন কিছু কথা বলে ফেলতে পারেন যা অন্যের কষ্টের কারণ হতে পারে, তাই কোনো কথা না বলাই ভালো।
০৬. যেকোনো সমস্যার সমাধান অবশ্যই আছে, একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলেই সেটা বের করা যায়।
০৭. নিজেকে নিয়ে বেশি হিসাব করতে গেলে রাগ আরও বাড়বে তাই, তাত্ক্ষণিক ব্যাপারটা মেনে নিলে সমস্যা অনেকটা কমে যায়।
০৮. টেনশনে সিগারেট জাতীয় কিছু খাওয়া ঠিক না, তাতে মনটা আরও বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
০৯. টেনশন কমানোর জন্য খানিকটা হাসি ঠাট্টা করা যেতে পারে, তাতে মনটা হালকা হয়ে যায়।
১০. সবথেকে ভালো উপায় হলো মেডিটেশন।
বিডি-প্রতিদিন/২০ আগস্ট, ২০১৫/মাহবুব